প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৩ ১২:২২ পিএম
ঢাকার মঞ্চে আসছে নতুন নাটক ‘হিড়িম্বা’। নাট্যদল ‘অন্তর্যাত্রা’ প্রযোজিত নাটকটি লিখেছেন রুবাইয়াৎ আহমেদ। নির্দেশনায় হাবিব মাসুদ। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ও শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির দুটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
‘হিড়িম্বা’তে একক অভিনয় করেছেন ফারজানা মুক্তো। বৈষম্যের শিকার হওয়া মহাভারতের রাক্ষুসী চরিত্র হিড়িম্বার ত্যাগের প্রেক্ষাপটেই রচিত হয়েছে নাটকটি।
মহাভারতের কাহিনী অনুসারে, প্রেমের প্রবল টানে রাক্ষুসী নারী হিড়িম্বা ভাইয়ের খুনি ভীমকেই বিয়ে করেছিল নানা শর্ত মেনে। বিয়ের পর পুত্র ঘটোৎকচের জন্ম হওয়ার পর শর্তানুসারে হিড়িম্বা নিজের বাড়ি ফিরে যায়। কুরুক্ষেত্রে পান্ডবদের হয়ে লড়তে যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী করে নিজের ছেলে ঘটোৎকচকে পাঠায় হিড়িম্বা। যুদ্ধক্ষেত্রে কর্ণের অস্ত্রে মারা যায় ঘটোৎকচ। স্বামী পরিত্যক্তা, সন্তানহারা হিড়িম্বার কণ্ঠে ঝরে আক্ষেপ।
হিড়িম্বা প্রসঙ্গে নাট্যকার রুবাইয়াৎ আহমেদ বলেন, ‘মহাভারতে অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি অংশজুড়ে হিড়িম্বার কাহিনী রয়েছে। মহাকাব্যের যেকোনো নারী চরিত্রের ত্যাগের চেয়ে হিড়িম্বার অবদান কোনো অংশেই কম নয়, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা অনেক চরিত্র থেকেই বেশি। অথচ রাক্ষস সম্প্রদায়ের হিড়িম্বা পুজ্যরূপে প্রতিষ্ঠা পায়নি। কেননা কাব্যে-পুরাণে কল্পিত রাক্ষসদের সচরাচর নেতিবাচক চরিত্ররূপে চিহ্নিত করা হয়। পৃথিবীকে সুন্দর আর বসবাসযোগ্য রাখার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার সিংহভাগ দায় মূলত মানুষেরই।’
নির্দেশক হাবিব মাসুদ নাটক প্রসঙ্গে বলেন, ‘সভ্যতার এখন পর্যন্ত যত উন্নতি, তাতে মানবের জয়গান হয়েছে। অথচ যতশত ধ্বংসলীলা ঘটেছে সেও মানুষের অবিবেচক কর্মেরই ফল।
তিনি আরও বলেন, ‘আবহমান বাংলার গল্প-বয়ানরীতিতে হিড়িম্বার ডিজাইন করা হয়েছে। বিশ্বাস করি, গায়েনের নৃত্য মৌলিক কিছু গানের সঙ্গে মিলেমিশে দারুণ কিছুই হবে। সে ক্ষেত্রে অন্তর্যাত্রাকে কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয়।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফারজানা মুক্তো হিড়িম্বার মতো শক্ত চরিত্রে অভিনয় করার ঝুঁকি নিয়েছেন। নাটকজুড়ে যিনি একাই মানবী ও রাক্ষসীরূপে আবির্ভূত হয়েছেন।
এ ছাড়া নাটকে সহকারী নির্দেশকের ভূমিকায় রয়েছেন খন্দকার রাকিবুল হক।