প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:২৮ পিএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:১৬ পিএম
'যেখানে সীমান্ত তোমার/সেখানে বসন্ত আমার', এই নীল মনিহার’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা শুধু দুজনের’ কিংবা ‘আমায় ডেকো না ফিরানো যাবে না’– এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরশ্রষ্টা লাকী আখন্দ। একাধারে সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক লাকী আখন্দকে হারানোর ৬ বছর পূর্ণ হলো আজ।
২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল আজকের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। এর আগে দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। লাকী আখন্দ চলে গেছেন কিন্তু রেখে গেছেন তার কালজয়ী সৃষ্টি। পুরো একটা প্রজন্ম তার সুরের মূর্ছনায় বুঁদ হয়েছেন, আন্দলিত হয়েছেন; ভেসেছেন তার সুরসাগরে। যে সুর ও সংগীত আজও ফেরে মানুষের মুখে মুখে, ঠাঁই করে নিয়েছে স্রোতার হৃদয়ের মনিকোঠায়। বর্ণিল সংগীতজীবনে গুণী এ শিল্পী অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন।
তার নিজের গাওয়া গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-- ‘এই নীল মনিহার’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘মামনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘হৃদয় আমার’ প্রভৃতি। লাকী আখন্দের জন্ম ১৯৫৬ সালের ৭ জুন পুরান ঢাকার পাতলা খান লেনে। ৫ বছর বয়সেই তার বাবার কাছ থেকে সংগীতে হাতেখড়ি নেন। ১৯৬৩-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত রেডিও এবং টেলিভিশন শিশু শিল্পী হিসেবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। লাকী আখন্দ মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানে সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতে সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (সংগীত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লাকি আখন্দের প্রথম সলো অ্যালবাম ‘লাকি আখন্দ’। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে এ অ্যালবাম প্রকাশ পায়।
লাকী আখন্দের সুর ও সংগীতায়োজনে উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলো হলো— ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ (কুমার বিশ্বজিৎ), ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’ (সামিনা চৌধুরী), ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ (হ্যাপী আখন্দ), ‘কে বাঁশি বাজায়রে’ (হ্যাপী আখন্দ)।
আজ এই গুণী শিল্পীর প্রয়ান দিবসে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছে প্রতিদিনের বাংলাদেশ। ওপারে ভালো থাকুন প্রিয় লাকী আখন্দ।