প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩৭ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৮:৫৬ পিএম
’রয়ে যাবে এই খাঁচাতে, তোমার জীবন এখানে বন্দী। নিজেরই ন্যায্য ভাগ বুঝে নিতে সংগ্রাম চলে নিত্য। পঞ্চাশ টাকা বাঁচাতে, যদি হয় খুব চেঁচাতে। লজ্জা করো না, করো না, যাহারা মধ্যবিত্ত।’ লাইনগুলো শুনলেই যেন একজন মধ্যবিত্তকে একবার হলেও ভাবতে হবে, বাঁচতে শেখাবে। যে গানের কথাগুলো আর কারও নয়, লিখেছেন ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সায়ান তার ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে একটি নতুন গান প্রকাশ করেছেন। বরাবরের মতোই তার গানের কথা ও সুর নিজের।
নতুন ভিডিও গানটি প্রকাশ করে ক্যাপশনে লেখেন, ’মধ্যবিত্তের জীবনকে ব্যক্তিগত জায়গা থেকে যেটুকু আবিস্কার করা, তার আলোকে লেখা এই গান এবং তার কিছু গল্প নিয়েই মধ্যবিত্তের গান, "যাহারা মধ্যবিত্ত!’’
শুধু গানেই নয়, সায়ানের বাহ্যিকতায়ও রয়েছে সেই ভিন্নতার ছাপ, রয়েছে মধ্যবিত্তের ছাপ। কালো প্যান্ট-শার্টের সঙ্গে ছোট চুলের ছাঁটকে সায়ানের ট্রেডমার্ক বলেই ধরে নেওয়া যায়। সেটাকে পুরুষের সমান হতে চাওয়ার বাসনা কিংবা সমাজের সচরাচর কাঠামোকে ভাঙতে ব্যবহৃত প্রতিবাদ হিসেবেই অনেকে মনে করে থাকলেও প্রকৃতার্থে পোশাক নিয়ে ভেবে সময় অপচয়ে আগ্রহী নন তিনি। তার মতে, যা পরিধেয় হিসেবে স্বস্তিদায়ক, তা-ই যথেষ্ট।
জীবন একদিন ফুরোবেই। আর সেই অনিবার্য মুহূর্ত পার করেও যা সায়ানকে মানুষের মনে অবিস্মরণীয় করে রাখবে, তা হলো তার কাজ। আর তাই খুব সহজেই নিজেকে ‘কেউ না’ বলে আখ্যায়িত করা সায়ান কর্মজীবনের প্রথম থেকেই বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছেন। সংগীত ও আইনি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সমাজকে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তনের জন্য যে কাজ তিনি করে চলেছেন, তাতে শৈল্পিক সায়ানের সঙ্গে একজন অনুভূতিকেন্দ্রিক সচেতন মানুষকেই পাই আমরা।
প্রসঙ্গত, সায়ান ২০০৮ সালে একুশে টিভিতে এক ফোনো-লাইভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গানের ভুবনে যাত্রা শুরু করেন। সায়ানের কথাকেন্দ্রিক গানগুলো নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এক ধারার। আর সে ধারাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিশেষ এক শ্রোতাশ্রেণি। প্রায় ১১ বছরের সংগীতজীবনে সেই শ্রোতাশ্রেণিকে সায়ান উপহার দিয়েছেন মোট তিনটি অ্যালবাম।