বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:১৯ পিএম
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৪০ পিএম
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী
নৃত্যনাট্য পরিবেশনার সমাপ্তি হয়েছে। গত ৫ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর এটি অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল
৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে একাডেমির প্রযোজনা
বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠান।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে
এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা
ইকো।
৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সমাপনী দিনে পরিবেশিত হয় মানস
করের পরিচালনায় ‘দেওয়ান ভাবনা’, ল্যাডলি
মোহন মৈত্রের ‘বিদায় অভিশাপ’, কামরুল
হাসান ফেরদৌসের ‘রোমিও জুলিয়েট’ এবং
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনা।
‘দেওয়ান ভাবনা’ নৃত্য
নাট্যটিতে পিতৃহারা সুনাইয়ের বিষপানে মৃত্যুর মাধ্যমে সুনাই এবং মাধবের এক গভীর প্রেমের
কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়। নৃত্যটির নির্দেশনায় ছিলেন মানস কর এবং পরিবেশনায় ছিলেন একতাঙ্গন
পারফর্মিং আর্টস একাডেমি, কিশোরগঞ্জ। এতে নৃত্যশিল্পী মানস করসহ বিভিন্ন চরিত্রে অংশগ্রহণ
করেন ইমরান কাউসার, মিষ্টি ঘোষ, প্রান্ত বণিক, পল্লব কর, হবি শেখ, গুনগুন সরকার, মৃন্ময়ী
রায় মেঘা, হিয়া, উপমা বসাক, সেতা রায় তৃণা, মৃত্তিকা, তানহা, বর্ষা, রূপকথা, নদী, কাব্য,
তানিয়া আক্তার রুপা, ছোটন, হিরণ, তানজিম, দিপ্ত, রোহান, আব্দুল্লাহ, আকাশ, সাকিব এবং
লুৎফর রহমান।
ল্যাডলি মোহন মৈত্রের ‘বিদায়
অভিশাপ’ নৃত্যনাট্যের মূল বিষয়বস্তু
ছিল দেবগুরু বৃহস্পতির পুত্র কচ ও দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যের কন্যা দেবযানীর কথোপকথন।
মৃত সঞ্জীবনী মন্ত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে কচ দৈত্যপুরীতে আগমন করেন। সহস্র বছরের বিদ্যা
চর্চার শেষে কচ, দেবযানীর কাছে বিদায় প্রার্থনা করেন। এই বিদায়কালীন উভয়ের যে বাক্যালাপ
তারই উপর ভিত্তি করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বিদায়
অভিশাপ’ কবিতাটি রচনা করেন। সেই কবিতাটির
আলোকেই এই নৃত্যনাট্যটি গ্রথিত। গ্রন্থনা, নৃত্য ভাবনা ও নৃত্য নির্দেশনায় ছিলেন আলো
রানী মৈত্র ও ল্যাডলি মোহন মৈত্র মিলন।
এতে নৃত্যশিল্পী আলো রানী মৈত্র ও ল্যাডলি মোহন মৈত্র
মিলনসহ বিভিন্ন চরিত্রে অংশগ্রহণ করেন কৃশ দাস, মিথিলা আচার্য, সিফাত খান কোয়েল, অর্ণিতা
ভট্রাচার্য প্রকৃতি, পৌষালী মৈত্র শ্রুতি, বৈশাখী রানী চৌধুরী, প্রিয়ন্তী দাস, প্রগতি
দে, স্বস্তিকা চক্রবর্তী, অংকিতা সাহা, মিথিলা প্রামাণিক, আনজুমান নাঈমিন ঋদ্ধি, তাবীন
তাসনিম সুমাইয়া, নিরব কুমার, তানভীর আহমেদ, মুশফিকুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ইফতেখার
হোসেন, আতাউর রহমান, স্বরূপ প্রামাণিক, আদিল হোসেন, রাজ কুমার বর্মণ, অর্পণ মৈত্র শুদ্ধ,
মৌঋতা আচার্য মিথুন, শতাব্দী, সম্পূর্ণা, সকাল, স্বাগতা এবং সঙ্গীতা।
শেকসপিয়ারের ‘রোমিও
জুলিয়েট’ বাংলাদেশের ’৮০-র দশকের
একটি বিখ্যাত উপন্যাস। এখানে রোমিও ও জুলিয়েট নামক মানব-মানবীর প্রেম প্রাধান্য পেয়েছে।
যা তাদের বংশগত বিরোধের কারণে বিয়োগান্তক পরিণতি পায়। নৃত্যনাট্যটি পরিচালনা করেন কামরুল
হাসান ফেরদৌস এবং পরিবেশন করেন নৃত্যদল ‘বহর’।
এতে অংশগ্রহণ করেন জাবেদ, লিমন, সোহেল, সাগর, দিপু,
আমিনুল, আবির, শংকর, জিসান, তিলক, পলাশ, প্রিতম, মাসুক, শফিক, জসিম, মিম, চন্দ্রা,
অদিতি, বৃষ্টি, হ্ন্ত্তিকা, রিয়ন্তী, টুম্পা, মধুরিমা, মারজিয়া, সামিয়া, দিঘী, চৈতী,
প্রজ্ঞা, রাত্রী, মিম, চন্দ্রা, অদিতি, বৃষ্টি,
হৃত্তিকা, রিয়ন্তী, টুম্পা, মধুরিমা, মারজিয়া, সামিয়া, দিঘী, চৈতী, প্রজ্ঞা, রাত্রী,
ঐশী, রোজা, সাথী এবং তাহমিনা।
প্রবা/এলএ/এসআর