প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩ ১২:২৭ পিএম
হলিউডের তারকা অভিনেতা টম ক্রুজ। তার সিনেমা মানেই যেন ভিন্নরকম উন্মাদনা। প্রতিটি ছবি যেন বক্স অফিসে রেকর্ড ভাঙার মিশনে নামে। তবে অভিনেতা হিসেবে তার যতটা পরিচিতি, প্রযোজক হিসেবে পরিচয় অনেকেরই অজানা। প্রায় ৩০ বছর ধরে প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত আছেন এ অভিনেতা।
১৯৯৩ সাল থেকে ক্রুজ/ওয়েগনার প্রডাকশন হাউসের অন্যতম স্বত্বাধিকারী তিনি। এই প্রযোজনা সংস্থা থেকে মিশন ইমপসিবল থেকে শুরু করে অনেকে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, হয়েছে দারুণ ব্যবসাসফল। দীর্ঘদিন ধরে প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলস্বরূপ এবার স্বীকৃতি পেলেন টম ক্রুজ।
সম্প্রতি প্রডিউসারস গিল্ড অব আমেরিকা টম ক্রুজকে প্রযোজক হিসেবে তার প্রায় তিন দশকের কাজের জন্য সম্মানিত করেছে। টম ক্রুজ বেভারলি হিল্টনের ওই শোতে তার উপস্থিতির মাধ্যমে আলোড়ন তৈরি করেন। তিনি ‘মিশন ইম্পসিবল’ দিয়ে তার প্রযোজনা ক্যারিয়ার শুরু করেন। এটির জন্য তিনি পিজিএ-তে ডেভিড ও. সেলজনিক অ্যাওয়ার্ড পান। এটি হলো আজীবন সম্মাননাÑ যা ইতঃপূর্বে স্টিভেন স্পিলবার্গ, কেভিন ফেইজ, মেরি প্যারেন্ট এবং ব্রায়ান গ্রেজারকে দেওয়া হয়েছিল।
ক্রুজ বলেন, “সারা জীবন আমি সিনেমা বানাতে চেয়েছিলাম। ‘মিশন ইম্পসিবল : ২’-এ তার চুল যতটুকু লম্বা ছিল, তেমন চুল এখন আর নেই। আমি সব সময় বিশ্ব ভ্রমণ করতে এবং দুঃসাহসিক কাজ করতে চেয়েছিলাম।”
অনুষ্ঠানে তিনি স্পিলবার্গ এবং প্যারামাউন্টের প্রাক্তন সিইও ও অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ল্যান্সিংসহ অন্যান্য অনেক পরামর্শদাতা এবং অংশীদারদের তার কাজের স্বীকৃতির জন্য শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ‘ভ্যানিলা স্কাই’, ‘দ্য লাস্ট সামুরাই’, ‘জ্যাক রিচার’এবং ‘মিশন ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজের যে পাঁচটি সিনেমায় টম ক্রুজ অভিনয় করেছেন, সেগুলোর প্রযোজক ছিলেন তিনি।
এদিকে সম্প্রতি উপস্থাপক জিমি কিমিলের শোতে অিংশ নিয়ে নিজের এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন টম ক্রুজ। তার অভিনীত মিশন ‘ইম্পসিবল : ৭’ সিনেমায় এক ভয়ংকর সময়ের সাক্ষী হয়েছিলেনে এ অভিনেতা। বিশাল পাহাড় থেকে বাইক নিয়ে লাফ দেওয়ার সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ‘মাউন্টেন থেকে লাফ দেওয়ার পর আমার প্যারাসুট ঠিকমতো কাজ করছিল না। শূন্য থেকে নিচে চলে যাচ্ছিলাম। প্রায় ৭-৮ মিনিট চেষ্টার পর প্যারাসুটটি খুলতে সক্ষম হই। না হলে বড় বিপদ হয়ে যেত।’