প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৩ পিএম
ভারতের সংগীত ইন্ডিাস্ট্রিতে অলকা ইয়াগনিকের অবদান অনেক। সিনেমার গানে তার ঝুরি মেলা ভার। একের পর এক হিটা গান গেয়ে শ্রোতাদের মনিকোঁঠায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি। প্রায় তিন দশক ধরে ভারতীয় সংগীত জগতের সাথে যুক্ত তিনি। এবার অলকার মুকুটে নতুন পালক। নতুন এক বিশ্বরেকর্ড গড়লেন তিনি।
২০২২ সালের হিসাবে ইউটিউবে ৫৬ বছর বয়সী এই গায়িকার গান বিশ্বজুড়ে সবথেকে বেশিবার বেজেছে। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অলকা ইয়াগনিকের গান বেজেছে ১৫.৩ বিলিয়ন বার। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৪২ মিলিয়ন বার বেজেছে তার গান। এর ফলে ২০২২ সালের ‘মোস্ট স্ট্রিমড অ্যাক্ট অন ইউটিউব’ খেতাব পেয়েছেন অলকা।
কোরিয়ান ব্যান্ড বিটিএস-কে পিছনে ফেলে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ইউটিউবের সর্বাধিক স্ট্রিম করা শিল্পী হয়ে উঠেছেন অলকা। ওই বছর ৭.৯৫ বিলিয়ন বার বেজেছে বিটিএস-এর গান। অন্যদিকে, সেরা পাঁচের বাকি তিনজনও ভারতীয়। তারা হলেন উদিত নারায়ণ (১০.৮ বিলিয়ন), অরিজিৎ সিং (১০.৭ বিলিয়ন) ও কুমার শানু (৯.০৯ বিলিয়ন)। কুমার শানুর সঙ্গে অলকার বহু জনপ্রিয় গান রয়েছে।
চমক এখানেই শেষ নয়। গত তিন বছর ধরেই এই রেকর্ড নিজে ধরে রেখেছেন অলকা ইয়াগনিক। ২০২০ সালে তার গান বেজেছিল ১৬.৬ বিলিয়ন বার। ২০২১ সালে সেটা ছিল ১৭ বিলিয়ন। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রতিবেদনে অলকা ইয়াগনিককে বলিউডের সবচেয়ে আইকনিক কণ্ঠ বলা হয়েছে।
সেরা মহিলা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে অগনতি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন অলকা। তাকে বলা হয় 'কুইন অফ প্লে ব্যাক সিঙ্গিং'। মাত্র ৬ বছর বয়েসে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান গেয়ে কেরিয়ার শুরু করেন। এখনও পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছেন।
উল্লেখ্য, কলকাতায় জন্ম গায়িকার। ১০ বছর বয়সে মায়ের হাত ধরে মুম্বাই পাড়ি দেন ছোট্ট অলকা। সর্বাধিক সাফল্য পেয়েছেন হিন্দি সিনেমার গানে। তার সবথেকে জনপ্রিয় গানগুলি মধ্যে হল- ‘লাল দোপাট্টা’, ‘দিল লাগা লিয়া’, ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’, ‘কাভি আলভিদা না কেহনা’ প্রমুখ। ১৯৮৯ সালে শিলং-এর ব্যবসায়ী নীরজ কাপুরের সঙ্গে বিয়ে হয় অলকার। তাদের একটি মেয়েও আছে। 'ভয়েস অফ ইন্ডিয়া', 'সা রে গা মা পা লিটল চ্যাম্প'-এর মত বিখ্যাত রিয়ালিটি শো-এর বিচারকের আসনে দেখা গিয়েছে অলকাকে।