প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৯ পিএম
গল্পনির্ভর চলচ্চিত্র নির্মাণ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন নির্মাতা খন্দকার সুমন। গণঅর্থায়নে তিনি বানিয়েছেন ‘সাঁতাও’ সিনেমাটি। দেশ-বিদেশ ঘুরে এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এটি। প্রথম সপ্তাহে পাঁচটি হলে দেখা যাবে সাঁতাও। সিনেমার প্রযোজক শরিফ উই আনোয়ার সাজ্জান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগেও এ সিনেমার মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে আশানুরূপ হল না পাওয়ায় মুক্তি পেছানো হয়। অবশেষে পাঁচ হল নিয়েই দর্শকের সামনে এলো ছবিটি। আজ থেকে সাঁতাও দেখা যাবে বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার, রংপুরের শাপলা, চট্টগ্রামের সুগন্ধা ও সিলভার স্ক্রিনে।
এ বিষয়ে ছবিটির প্রযোজক সাজ্জান বলেন, ‘আমরা এতদিন সিনেমাটির হল পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে আমরা কিছু হল পেয়েছি। আশা করি সিনেমাটি ভালো লাগবে দর্শকের। দর্শকই এর প্রচার করবে। আগামী সপ্তাহে হল আরও বাড়বে। আপাতত মুক্তির প্রথম দিনটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে আমরা জয়ী হব বলেই প্রত্যাশা করছি। দর্শকদের বলব হলে গিয়ে সাঁতাও দেখুন। আপনাদের পয়সা অপচয় হবে না তা নিশ্চিত করে আমি বলতে পারি।’
এ সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী আইনুন পুতুল। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশের কাছে তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশের অনেক উৎসবে প্রদর্শিত হলেও সিনেমাটি অবশেষে দেশের সব শ্রেণির দর্শকের কাছে যাচ্ছে, এটা আনন্দের। অনেক পরিশ্রম করে আমরা সিনেমাটিতে কাজ করেছি। আমি মনে করি এ পরিশ্রমের ফল আসবেই।’
এদিকে নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ষষ্ঠ আসরে মনোনীত হয়েছে সাঁতাও। ১৬ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠেয় উৎসবের ‘ওয়ার্ল্ড প্যানোরমা’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি। এর আগে সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে সিনেমাটি।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাপনের গল্প নিয়ে গণঅর্থায়নে নির্মিত হয়েছে সাঁতাও। কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সর্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন, সুখদুঃখ, হাসিকান্নায় আবর্তিত হয়েছে এ সিনেমার গল্প। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন ফজলুল হক ও আইনুন পুতুল। আরও অভিনয় করেছেন মো. সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফ্রিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আব্দুল আজিজ মণ্ডল, বিধান রায়, জুলফিকার চঞ্চল, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ, রেফাত হাসান সৈকত, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পাল, হামিদ সরকার, মো. হানিফ রানা, আকতার হোসেন, আজিজুল হাকিম শিউস, সাইফুল ইসলাম লিটন, রাসেল তোকদার, মজনু সরকার, আবু কালাম, সিদ্দীক আলী, সুজন মাহমুদ, তাহসিনা আকতার তন্বী, নিশাত তাহিয়াত মিমন এবং তিস্তাবাজার এলাকাবাসী।