প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৯ পিএম
দেশের অন্যতম ব্যান্ডদল ‘নকশীকাঁথা’ গতকাল ১৭ বছরে পা দিল। ব্যান্ডদুনিয়ায় দলটির পদচারণা শুরু হয় ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশকিছু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে নকশিকাঁথা।
দলটির প্রতিষ্ঠাতা ভোকালিস্ট সাজেদ ফাতেমী বলেন, ‘ব্যান্ড প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল দেশের সামাজিক সংকটগুলো গানের মধ্য দিয়ে তুলে আনা। আর সেই গানের ভিত্তি হবে লোকজ সুর ও টান। ২০১০ সালে এসে সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকগান বিশ্ববাসীর সামনে এবং বিশ্বের নানা ভাষার লোকগান বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতা ও দর্শকদের সামনে তুলে ধরা। তখন থেকে লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে চলেছে নকশীকাঁথা।’
সাজেদ ফাতেমী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে একনিষ্ঠভাবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাম না জানা সাধকদের গান সংগ্রহ ও তাদের সান্নিধ্যে এসে নিজেদের সমৃদ্ধ করে চলেছেন নকশীকাঁথার সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে তারা বাঙালি ও বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে লোকগানের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের রূপটি তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দুটি অ্যালবামসহ এ পর্যন্ত প্রকাশিত গানের সংখ্যা ৭০টি। ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে ৭১তম গান।
ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘নজর রাখিস’ প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। এর টাইটেল সং ‘নজর রাখিস’-এর মূল বক্তব্যই হলো ‘দেশের প্রতি অঙ্গীকার’। উচ্চশিক্ষা বা জীবিকার জন্য সন্তান যে দেশেই যাক না কেন, নির্দিষ্ট একটা সময় পর সে যেন মায়ের কাছে ফিরে আসে, দেশের কাজে লাগে। নিজের মেধা ও কর্মক্ষমতার সবটুকু যেন দেশের কাজে লাগায়, এমনটাই ছিল গানটির উপজীব্য বিষয়।
দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘নকশীকাঁথার গান’ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। এই অ্যালবামে যেমন দেশের গানেই বুঁদ হয়ে থাকার আহ্বান আছে, তেমনি আছে রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়া অনিয়ম ও দুর্নীতির নাটের গুরুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গান। সেই গানে একটি ছিঁচকে চোর ছোট থেকে ধীরে ধীরে কী করে বড় চোরে পরিণত হয়, বিভিন্ন প্রবাদ সন্নিবেশিত করে তার প্রকাশ ঘটানো হয়েছে বিদ্রূপাত্মক ভঙ্গিতে।
নকশীকাঁথার লাইনআপ : সাজেদ ফাতেমী (ভোকালিস্ট ও পারকেশনিস্ট), জেআর সুমন (লিড গিটার, রাবাব ও ম্যান্ডোলিন), বুলবুল (কাহন, ঢোল ও তবলা), রোমেল (কি-বোর্ড ও মেলোডিকা) এবং ফয়সাল (বেজ গিটার)