প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:১৮ পিএম
বীরকন্যা প্রীতিলতার জীবননির্ভর চলচ্চিত্র ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। এ উপলক্ষে ছবিটির প্রচারে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কলাকুশলীরা।
জানা গেছে, ছবিটির প্রচারে আজ রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সে যাচ্ছেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, মনোজ প্রামাণিক, সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার এবং বীরকন্যা প্রীতিলতা চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত অন্য কলাকুশলীরা।
পরিচালক প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে (বসুন্ধরা সিটি) প্রিমিয়ার শোর মাধ্যমে ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ মুক্তি পাবে। প্রিমিয়ার শোতে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রিমিয়ার শোর পর ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের সিনেমা হলগুলোয় একই সঙ্গে প্রদর্শিত হবে। নানা জটিলতার কারণে মুক্তির তারিখ পিছিয়ে অবশেষে ভাষার মাসে এই ভূখণ্ডের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের অংশ বীরকন্যা প্রীতিলতার জীবননির্ভর চলচ্চিত্র অবশেষে দর্শকের সামনে হাজির করছি। এ কারণে প্রচারণা পুনরায় শুরু করছি।’
পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সে বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীদের মাঝে সিনেমার পোস্টার বিলি করবেন তিশা। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে যাবেন চলচ্চিত্রের কলাকুশলীরা। আগামী ২৯ জানুয়ারি বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে এবং শামসুন্নাহার হলে সন্ধ্যা ৭টায় আয়োজিত হবে প্রচার কার্যক্রম। ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা যাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত-মৈত্রী হলে।
এ প্রসেঙ্গ নির্মাতা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উপমহাদেশের প্রথম নারী শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটি প্রচারে আমরা এবার ছাত্রী হোস্টেলগুলোয় গুরুত্ব আরোপ করছি। কারণ বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই বিস্তারিতভাবে এই বীরকে জানেন না। তাই এই প্রচার কার্যক্রম একটি আন্দোলনের অংশ। পর্যায়ক্রমে ছাত্র হোস্টেলেও হাফ পাস বিতরণে তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবন নিয়ে নির্মিত ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ চলচ্চিত্রটি একটি ইতিহাসনির্ভর চলচ্চিত্র। এ ধরনের কাজ শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে বলে আমরা মনে করি। আমরা চলচ্চিত্রটির সিংহভাগ শুটিং ঐতিহাসিক স্থানসমূহে করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, দর্শকরা চলচ্চিত্রটি দেখে মুগ্ধ হবেন।