প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০৮ পিএম
একজন খ্যাতনামা কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, নৃত্যশিল্পী, অভিনয়শিল্পী ও ব্যবসায়ী। অনেকগুলো হিট গানের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত হয়েছেন। তাকে আমেরিকান পপ সংস্কৃতির সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীদের মধ্যে একজন বলা হয়ে থাকে। তিনি হলেন ম্যাডোনা।
আর এই ম্যাডোনাকেই প্রথমবার ‘সুপার হিট’ শব্দটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল তার প্রথম অ্যালবামের গান ‘হলিডে’; সেই সাফল্যের ৪০ বছর পূর্তি তিনি উদযাপন করবেন ‘গ্রেটেস্ট হিটস’ ট্যুরে ভক্তদের গান শুনিয়ে।
বিবিসি জানিয়েছে, ৬৪ বছর বয়সি এই পপ-আইকন তার ‘সেলিব্রেশন ট্যুরে’ ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত নিজের নামের প্রথম অ্যালবাম থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের ‘ম্যাডোনা এক্স’ অ্যালবামের সুপারহিট সব গান গাইবার পরিকল্পনা করছেন। বিভিন্ন শহরে ৩৫টি শো নিয়ে হবে ‘ম্যাডোনাÑ দ্য সেলিব্রেশন ট্যুর’।
এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হবে সেলিব্রেশন ট্যুরের টিকিট বিক্রি। ম্যাডোনা ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা আগাম টিকিট কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে শোর জন্য গান বাছাই করা ম্যাডোনার জন্য কঠিন কাজই হবে। ৬৪ বছর বয়সি এই গায়িকা, গীতিকার কম গান তো করেননি। কেবল যুক্তরাজ্যেই তার ৬৩টি গান বিভিন্ন সময়ে শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি গান ছিল নম্বর ওয়ান সিঙ্গেল।
সর্বশেষ ম্যাডোনাকে পারফর্ম করতে দেখা গেয়েছিল ২০১৯ সালের ম্যাডাম এক্সের শোগুলোতে। কিন্তু হাঁটু ও কোমরের ইনজুরির কারণে সে সময় বেশ কয়েকটি শো বাতিল করতে হয়। থিয়েটারভিত্তিক এক্সপেরিমেন্টাল সেই ট্যুরের শেষ দশটি শো ছিল প্যারিসে, সেগুলো বাতিল হয় কোভিড মহামারীর কারণে।
উল্লেখ্য, তার অর্জনের তালিকাটা একটু বেশ বড়ই বটে। আর তাই তো গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য রেকর্ড ভেঙেছেন ম্যাডোনা। তিনি ২০০৪ সালে যুক্তরাজ্যের মিউজিক হল অব ফেমের পাঁচ প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের একজন নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে যুক্ত হন ‘রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম’-এ।
পাশাপাশি, রোলিং স্টোন তাকে সর্বকালের সেরা ১০০ শিল্পীর বিশেষ তালিকায় ৩৬তম স্থান দেয়। বিলবোর্ড ২০১৬ সালে তাকে বর্ষসেরা নারীর তকমা দেয়।
যৌনতা নিয়ে সব সময় খোলামেলা থাকার কারণে বরাবরই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এই গায়িকা। তার ‘লাইক আ প্রেয়ার’র পারফরম্যান্স ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে অভিযোগ ওঠায় এর বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সরশিপ বাতিল করা হয়েছিল।
সমাজ পরিবর্তনেও বিশাল ভূমিকা রেখেছেন এ গায়িকা। নারী, শিক্ষা, বৈশ্বিক উন্নয়ন ও মানবিকতায় গুরুত্ব দিয়ে ‘রে অব লাইট ফাউন্ডেশন’-এর মতো দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।