বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২২ ১৬:৫৩ পিএম
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২২ ১৭:১৪ পিএম
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। আর্থিক জালিয়াতি মামলায় গেল কয়েক মাস ধরে তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে ছিলেন। তার বিরুদ্ধ ছিলো দেশ ছাড়ার নিষেধাজ্ঞাও। যদিও জ্যাকুলিনের দাবী তিনি নির্দোষ।
তবে, ২১৫ কোটি রুপি তছরুপের মামলায় শেষ পর্যন্ত নাম জড়িয়ে গেল লংকান এ সুন্দরীর। অতিরিক্ত চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে জ্যাকুলিনের নাম এসেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’র তদন্তে। চার্জশিটে এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের নাম ছিলো শুরু থেকেই।
আজ বুধবার এই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হয় আদালতে। ইডি সূত্রের দাবি, তদন্তে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, সুকেশ একজন প্রতারক, এটা জ্যাকুলিন জানতেন। জেনেবুঝেই তিনি প্রতারণার এই টাকায় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন।
সুকেশের কাছ থেকে বেশ কয়েকবার দামী ‘উপহার’ পেয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। ইডির জেরায় তা স্বীকারও করেছিলেন তিনি। জ্যাকুলিনকে এই মামলায় ইডি গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো বেশ কয়েক বার।
ইডি সূত্রে খবর, জ্যাকুলিন সুকেশের কাছ থেকে যে সব উপহার পেয়েছেন, সব মিলিয়ে তার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে দামি গাড়ি, ৫২ লক্ষ টাকা দামের ঘোড়া, ৯ লক্ষ টাকার পারশিয়ান বিড়াল। এছাড়াও উপহারের তালিকায় রয়েছে গুচি, শ্যানেলের একাধিক ডিজাইনার ব্যাগ, গুচির জিমওয়্যার, লুই ভিতোঁর জুতো, দুই জোড়া হিরের কানের দুল এবং মূল্যবান পাথর বসানো ব্রেসলেট। এছাড়াও গোয়েন্দা সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, সুকেশ জ্যাকুলিনের পরিবারের সদস্যদেরও বিপুল টাকা দিয়েছেন।
যদিও জ্যাকুলিন ইডিকে বলেছিলো, উপহার হিসেবে পাওয়া মিনি কুপার গাড়িটি তিনি ফেরত দিয়ে দিয়েছিলেন সুকেশকে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত জ্যাকলিনের ৭ কোটি টাকার উপর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে ইডি।
এই মামলায় এখন পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বিভাগ সুকেশ ও তার স্ত্রী লিনা মারিয়া পালসহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। জ্যাকুলিনের কপালে কি আছে সেটা সময়ই বলে দেবে।