বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:১৯ পিএম
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:১৮ পিএম
বিয়ে করলেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ। পারিবারিকভাবে সম্প্রতি সময়ের আলোচিত এই অভিনেতা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।পলাশের স্ত্রীর নাম নাফিসা রুম্মান মেহনাজ। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে স্নাতক সম্পন্ন করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
জানা যায়, পলাশের দূর সম্পর্কের আত্মীয় নাফিসা রুম্মান মেহনাজ। পূর্বপরিচিতি থাকায় পলাশ তার বাবা-মায়ের পছন্দেই নাফিসাকে বিয়ে করেন।
গত বছরের নভেম্বরে পরিবারের কথায় নাফিসার সঙ্গে পরিচিত হন পলাশ। তখন জানতে পারেন অভিনয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়ার অনেক আগে থেকেই নাফিসা তাকে পছন্দ করতেন। পরিচয়ের মাস তিনেক পর পলাশ-নাফিসার সখ্য বাড়তে থাকে।
বেশ কিছুদিন আগে পরিবারের সম্মতিতে নাফিসাকে বিয়ে করেন তিনি। অভিনয়-নির্মাণ সবকিছু নিয়ে ভীষণ ব্যস্ততা যাচ্ছে পলাশের। এতই ব্যস্ত যে এখনও মধুচন্দ্রিমায় যেতে পারেননি।
বিয়ের বিষয়টি জানিয়ে পলাশ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাবা-মায়ের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বিয়ে করেছি। আলহামদুলিল্লাহ্, দাম্পত্যজীবনে আমরা ভীষণ সুখে আছি। সবার কাছে দোয়া চাই, জীবনের বাকিটা সময় যেন পরস্পরের অপরিহার্য হয়ে একসঙ্গে থাকতে পারি।’
পলাশ আরও জানান, ঘরোয়া পরিসরে অনাড়ম্বর আয়োজনে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে দুই পরিবারের সদস্য ছাড়া কেউ ছিলেন না। ফেব্রুয়ারিতে বড় পরিসরে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে তাদের।
পরিচালক কাজল আরেফিন অমির সহকারী থেকে অভিনয়ে আসেন পলাশ। জনপ্রিয় এই নির্মাতার সিরিয়াল ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর কাবিলা চরিত্র পলাশকে তারকা খ্যাতি এনে দিয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি পলাশ নির্মাণেও মনোযোগী। কয়েকটি টিভিসি, মিউজিক ভিডিও ও নাটক নির্মাণ করে প্রশংসা অর্জন করেছেন।
কাজল আরেফিন অমি পলাশের বিয়েতে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে লেখেন, ‘আপনাদের আমাদের সবার প্রিয় জিয়াউল হক পলাশ। ২০১৬ সালের মার্চ-এপ্রিলের দিকে পলাশ আমার সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করে। অত্যন্ত পরিশ্রমী ও বাধ্যগত ছেলে ‘
তিনি বলেন, ‘আমার বিভিন্ন কাজে জোর করে পলাশকে দিয়ে এক সিকোয়েন্স/দুই সিকোয়েন্স করে অ্যাক্টিং করাতাম। ও কখনই অ্যাক্টিং করতে চাইত না। বলত, অ্যাক্টিং করলে আমি ডিরেকশনের কাজে মনোযোগী হতে পারি না। কিন্তু আমার কেন যেন সবসময় মনে হতো, ওকে দিয়ে আলাদা কিছু করানো সম্ভব। সেজন্য আমি হাল ছাড়িনি, একটার পর একটা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। এ চেষ্টা, পলাশের পরিশ্রম এবং আপনাদের ভালোবাসার ফল আজকের পলাশ ওরফে কাবিলা।’
কাজল আরেফিন অমি বলেন, ‘দেখতে দেখতে ও কত বড় হয়ে গেল, নিজে ডিরেকশন শুরু করল, অভিনেতা হিসেবে সারা দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে গেল। ওকে নিয়ে রাস্তায় বের হলে মানুষ যখন হুমড়ি খেয়ে পড়ে, বলে বোঝাতে পারব না আমার কতটুকু ভালো লাগে।আমি চাই ও জীবনে আরও অনেক বড় হোক। আমার চোখে ওর জীবনটা মাত্র শুরু, এখনও অনেক দূর যেতে হবে। আমি পলাশকে শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বে জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে দেখতে চাই। আর এই ছেলেটা তার নতুন জীবনে পা রেখেছে ওর জন্য অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি পলাশ ও আমাদের লক্ষ্মী নাফিসা তাদের পরিবার ও আমাদের সবার সম্মতিতে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে সম্পন্ন করে। সবাই পলাশ ও নাফিসার নতুন জীবনের জন্য দোয়া করবেন ‘