বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:১১ এএম
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:১৫ পিএম
বলিউড পাড়ায় জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের আর্থিক তছরুফের মামলা নিয়ে বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি টাকা তছরুপের মামলায় বছরের শুরু থেকেই জড়িয়েছিল এ শ্রীলঙ্কান সুন্দরী অভিনেত্রীর নাম। এই প্রতারণার মামলায় রয়েছে নোরার নামও। এবার সেই সূত্র ধরেই জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন নোরা ফাতেহি।
নোরা ফাতেহি মানহানির মামলা শুধু জ্যাকুলিন নন, বেশ কিছু মিডিয়ার নামেও দিল্লি কোর্টে করেছেন।
এই মানহানি মামলায় নোরার তরফে জ্যাকুলিনকে মূল অভিযুক্ত (অভিযুক্ত নম্বর ১) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই মামলায় তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে যে, উল্লেখিত প্রতিদ্বন্দ্বীরা অভিযোগকারীর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে ন্যায্যভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পেরে তার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা শুরু করেছে। এতে তার কাজের ক্ষতি হচ্ছে।’
একইসঙ্গে এই মামলাতে বলা হয়েছে, ‘অভিযোগকারী এই মানহানিকর মন্তব্যের জন্য ক্ষুব্ধ। অভিযোগকারীর করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই অভিযোগ। এটা পুনর্ব্যক্ত করা উচিত যে, এই মানহানিকর মন্তব্যগুলো অভিযুক্ত নং ১ দ্বারা প্রাথমিকভাবে করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা সম্প্রচারিত এবং প্রচারিত হয়। যাদের সকলেই একে-অপরের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং অভিযুক্ত নং ১-এর এটা একটা ষড়যন্ত্র ছিল। অভিযোগকারীর আর্থিক, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত অধঃপতন হয়েছে এই কারণে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার দিল্লি কোর্টে আবারও হাজিরা দিতে হয়েছিল জ্যাকুলিনকে ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায়। আপাতত জামিনে বাইরে আছেন তিনি। শুনানির তারিখ ২০ ডিসেম্বরের পর রাখা হবে বলেই জানিয়েছে বিচারপতি শৈলেন্দ্র মালিক। জ্যাকুলিনের আইনজীবী কোর্টকে জানিয়েছেন যে, ইডির তরফ থেকে অভিনেত্রীকে এখনও চার্জশিটের সম্পূর্ণ কপি এবং অন্যান্য কাগজপত্র পাঠানো হয়নি।
এই টাকা তছরুপের মামলায় ইডি একাধিকবার জ্যাকুলিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই মামলার চার্জশিটে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে তার নামও আছে। এই মামলায় আপাতত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ইডি সন্দেহ করছে যে, চন্দ্রশেখর জেলে থাকাকালীনও বহু মানুষের থেকে টাকা আদায় করেছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২১-এর সেপ্টেম্বর মাসে এই টাকা তছরুপের মামলায় চন্দ্রশেখর এবং তার স্ত্রী ও অভিনেত্রী লীনা মারিয়া পালকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।