বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:১৫ পিএম
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিল্পযজ্ঞ ‘১৯তম এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী- ২০২২’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন জুরি বোর্ডের সভাপতি বরেণ্য চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী এবং জুরি বোর্ডের সদস্য পোল্যান্ডের শিল্প-সমালোচক জেরুস্লা সুচান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর চিফ কো-অর্ডিনেটর জনাব লিয়াকত আলী লাকী।
নির্বাচিত শিল্পকর্মের মধ্য থেকে ৫ সদস্যের জুরি বোর্ড ৯ জনকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে। জুরি বোর্ডের সদস্যরা হলেন পোল্যান্ডের জারুস্লো সুচান, ইংল্যান্ডের ইভোনা মারিয়া আন্না ব্লাজউইক, শ্রীলঙ্কার জগৎ বীরাসিঙ্গে ও তুরস্কের নুরসেরেন তর।
জুরি বোর্ডের সভাপতি রফিকুন নবী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। গ্র্যান্ড পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনজন শিল্পীর প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা এবং সম্মানসূচক পুরস্কারপ্রাপ্ত ৬ জনের প্রত্যেককে ৩ লাখ করে অর্থমূল্য, ক্রেস্ট, স্বর্ণপদক এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।
গ্র্যান্ড পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী সুশান্ত কুমার অধিকারী, শিল্পী ইয়াসমিন জাহান নূপুর, শিল্পী হ্যারল্ড স্কোলে। সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী ফারিহা জেবা, শিল্পী জয়তু চাকমা, শিল্পী মামুর আহসান মাহতাব, শিল্পী ময়নুল ইসলাম পল, শিল্পী সুমন চন্দ্র দাস, শিল্পী এনা সিলভিয়া মালহাডো।
প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, এমপি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিগত ৪০ বছর ধরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিল্পযজ্ঞ এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১১৪টি দেশের ৪৯৩ শিল্পী তাদের শিল্প নিয়ে অংশগ্রহণ করছেন। তার মধ্যে বাংলাদেশি শিল্পী হলেন ১৪৯ জন এবং বিদেশি শিল্পী হলেন ৩৪৪ জন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশুশিল্পীদের অংশগ্রহণে ১১৪টি দেশের পতাকা নিয়ে কোরিওগ্রাফি। এর ভাবনা ও পরিকল্পনায় লিয়াকত আলী লাকী। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মেহরাজ হক তুষার।
রোহিঙ্গাদের দেশান্তর এবং তাদের বেদনার গাথা নিয়ে ছিল ‘রোহিঙ্গানামা’। লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় এতে নৃত্য পরিচালনা করেছেন অমিত চৌধুরী, ধারাবর্ণনায় ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর এবং ত্রপা মজুমদার। নৃত্য পরিবেশনা করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যদল।
ছিল আরও এক পরিবেশনা ‘অবহেলায় মৃত্যু আর নয়’। এর নৃত্য পরিচালনা করেছেন আরিফুল ইসলাম অর্ণব, পরিবেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু নৃত্যশিল্পীবৃন্দ।
৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় মাসব্যাপী প্রদর্শনী চলবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রদর্শনী পরিদর্শনের জন্য অনলাইনে বিনামূল্যে নিবন্ধন করা যাবে (bsa.gov.bd/cms) ঠিকানায়। এ ছাড়া প্রদর্শনীস্থলে তাৎক্ষণিক নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রদর্শনী সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জনা যাবে asianartbiennale.org.bd ঠিকানায়।