প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫ ১০:৩৮ এএম
পরীমনি
অভিভাবকহীন জীবনের বাস্তবতা বরাবরই কঠিন। পরীমনির জীবনেও তা নির্মমভাবে ধরা দিয়েছে। মা-বাবাকে অনেক আগেই হারিয়ে তিনি বড় হয়েছেন নানার আশ্রয়ে। সেই নানাই ছিলেন তার পৃথিবী, ছায়াসঙ্গী। ২০২৩ সালের নভেম্বরে নানার মৃত্যুর পর যেন আরও একবার অনাথ হয়ে গেলেন তিনি।
এখন তিনি শুধু একজন মায়ের ভূমিকায়, একটি নিজের সন্তান আর একটি অন্যের শিশুর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। জীবন এগিয়ে চলেছে, তবে একা হাতে সব সামলানো সহজ নয়। শরিফুল রাজের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর একাকিত্ব যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে নিজের অনুভূতির কথা তুলে ধরেন পরীমনি। একা একা খাবার টেবিলে বসলে তাকে বড় বেশি নিঃসঙ্গ লাগে, মনে হয় যেন এতিম হয়ে গেছেন আবার। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘জীবনকে কত রঙিনভাবে দেখানোর চেষ্টা করি আমরা! কিন্তু সত্যি কি সব সময় তা সম্ভব? হয় না তো...’
তিনি আরও জানান, আগে কখনও এতটা একা লাগেনি। নানার জীবদ্দশায় খাবার সময় কখনও একাকী অনুভব করতে হয়নি। দিন হোক বা রাত, সময় থাকুক বা না থাকুকÑ নানাই ছিলেন পাশে বসে। এখন সন্তানরা ঘুমিয়ে গেলে নিজের জন্য কিছু সময় বের করতে চান, হাতে থাকা কাজগুলো গুছিয়ে নিতে চান, কিন্তু একা বসে খাবার মুখে তোলা যেন দুঃসহ হয়ে ওঠে।
রোজার সময় ইফতার বা সেহরির কোনো আয়োজনই আর তাকে টানে না। সবকিছু সয়ে নিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়ার মানুষ তিনি। পরীমনির বিশ্বাস, তার সন্তানরা বড় হয়ে গেলে আবার নতুনভাবে সুখ খুঁজে পাবেন। তখন আর একা বসে খেতে হবে না, একাকিত্ব গিলে খেতে পারবে না তাকে।