৫ম বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার প্রদানের মধ্যদিয়ে পর্দা নামলো তিনব্যাপী ৫ম বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। গত ২০ ফেব্রুয়ারি পুণ্ড্রনগর চলচ্চিত্র সংসদ বগুড়ার আয়োজনে উৎসবটি দুটি ভেন্যুতে শুরু হয়েছিলো । তিনদিনে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দেখানো হয় ৩৩ দেশের দেশের ৯৭টি চলচ্চিত্র।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী দিনে ৬ টি বিভাগে ৬টি সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার প্রদান করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক নজমল হক। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুরি মেম্বার ফিল্ম সাউন্ড ডিজাইনার নাহিদ মাসুদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা মো: তাওকীর ইসলাম, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাটক নির্বাচক কমিটির সদস্য অপূর্ণ রুবেল, লেখক ও সাংবাদিক অনিন্দ্য মামুন।
বিধান রায়ের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালক সুপিন বর্মন। তিনি বলেন, ‘এইবার ৬টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় উৎসবের সেরা ৬টি চলচ্চিত্রের পুরস্কার। উৎসবে আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায় ইরানের চলচ্চিত্র লন্ড্রি, সেরা প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘দ্যা টেস্ট অব হানি’, ওপেন ডোর শর্ট বিভাগে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নেপাল থেকে ‘জুনকো’, সেরা বাংলাদেশী চলচ্চিত্র বিভাগের পুরস্কার পায় ‘সওদা’, সেরা এ্যানিমেশন বিভাগে রাশিয়া থেকে ‘মুনখা’, সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে তুর্কি থেকে ‘এ পীচ অব গ্রেইন’ এবং উৎসব মেনশন এ্যাওয়ার্ড পায় নেপাল থেকে ‘বুলাকী’
সেরা চলচ্চিত্র মনোনয়নের জন্য জুরিবোর্ডে ছিলেন ভারত থেকে চলচ্চিত্র নির্মাতা রাকেশ আন্দানিয়া, অমল ভাগাত, মিশর থেকে ইল সাকুরি, বাংলাদেশের থেকে ফিল্ম সাউন্ড ডিজাইনার নাহিদ মাসুদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. তাওকীর ইসলাম, লেখক ও সাংবাদিক অপূর্ণ রুবেল, অনিন্দ্য মামুন, চলচ্চিত্র নির্মাতা শায়লা রহমান তিথি এবং অভিনেত্রী কাজি নওসাবা আহম্মেদ।
মাস্টার ক্লাস পরিচলানা করেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার আহম্মেদ তাওকীর এবং ফিল্ম সাউন্ড ডিজাইনার নাহিদ মাসুদ।
উৎসব পরিচালক সুপিন বর্মন জানান, এবার দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাসহ নেপাল, ভারত, ইটালী ও মালয়েশিয়া থেকে ৩৫ জন চলচ্চিত্র নির্মাতা, কলাকুশলী বগুড়ায় আসেন। তারা ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বগুড়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শিত জায়গাগুলো ঘুরে বেড়ান। এক ঝাঁক দেশ বিদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সরব উপস্থিতিতে বগুড়া শহরে উৎসব আনন্দ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
আগামি বছরে আরো বড় পরিসরে বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা ব্যক্ত করে সকল অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা এবং জেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন পুণ্ড্রনগর চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি পৌষরাম সরকার।