প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৪১ পিএম
শাকিব অভিনীত ‘তুফান’ সিনেমার পর একটি সিনেমাও আর তেমন দর্শক পায়নি প্রেক্ষাগৃহে।
ঢালিউডে চলছে চরম সংকটের দিনকাল। গেল কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিব অভিনীত ‘তুফান’ সিনেমার পর একটি সিনেমাও আর তেমন দর্শক পায়নি প্রেক্ষাগৃহে। গত বছরের ১৭ জুন কোরবানি ঈদের সিনেমা হিসেবে বাংলাদেশের হলগুলোয় মুক্তি পায় তুফান। এরপর ঢালিউডের গল্পটা কেবলই বিষাদের। গেল বছরের ২১ জুন থেকে সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ব্যবসায়িক সাফল্যের দেখা পায়নি একটিও। এ তালিকায় আছে শাকিব খানের ‘দরদ’ ছবিটিও। বিগ বাজেটের প্যান ইন্ডিয়ান মুভির তকমা নিয়েও ছবিটি সিনেমাহলে সাফল্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
বছরের প্রথম সপ্তাহে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তানভীর হাসানের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমাটি। এর পরের সপ্তাহে আসে অনন্য মামুনের ‘মেকআপ’ সিনেমা। দীর্ঘদিন এটি নিষিদ্ধ থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। তারপর মুক্তি পেয়েছে ‘কিশোর গ্যাং’ শিরোনামের আরও একটি সিনেমা। এটি পরিচালনা করেছেন আবদুল মান্নান।
সর্বশেষ অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘রিকশা গার্ল’ মুক্তি পেয়েছে ২৪ জানুয়ারি। বিশ্বের ৩০টির বেশি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে সিনেমাটি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারও জিতেছে। এ ছাড়া ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ অঙ্গরাজ্যের ৫২ শহরে চলচ্চিত্রটি দেখানো হয়। অথচ এমন একটি সিনেমা বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে দর্শক পাচ্ছে না!
একই সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে ‘বিলডাকিনি’ শিরোনামে আরও একটি সিনেমা। এতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। তার সঙ্গে ওপার বাংলার পার্নো মিত্র। নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের ব্যতিক্রমধর্মী কাহিনী অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন ফজলুল কবীর তুহিন। আলোচিত এ সিনেমাও দর্শকের মন ভরাতে পারেনি। এ ছাড়া জয়ার ‘নকশী কাঁথার জমিন’, মেহজাবীনের ‘প্রিয় মালতী’র মতো বহুল আলোচিত সিনেমাগুলো ফ্লপ হয়েছে। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের মতে, প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ধরে রাখার জন্য যে ধরনের সিনেমার প্রয়োজন তেমন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না।
নতুন বছরের শুরুতে বড় বাজেট ও জনপ্রিয় কোনো তারকার সিনেমা মুক্তি পেলে চিত্রটা হয়তো অন্যরকম হতো বলে তারা মন্তব্য করেন। এ ছাড়া নতুন বছরে এর মধ্যে যে কটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে কোনোটিই প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ফেরানোর মতো নয়, দাবি তাদের। তবে আসছে রোজার ঈদে দর্শক খরা কেটে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা। কেবল সিনেমায় দর্শক সংকটই নয়, ঢালিউড হুমকিতে আছে সিনেমা নির্মাণ কমে যাওয়াতেও। বিগত ছয় মাসে ছয়টি নতুন ছবির ঘোষণাও আসেনি। নেই শুটিংয়ের ব্যস্ততাও। অনেক ছবির নির্মাণকাজই রয়েছে বন্ধ। বেশ কিছু সিনেমার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।