প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০৯ পিএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:১০ পিএম
অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী
দেশের ঐতিহ্য রক্ষায় সার্কাস ও অ্যাক্রোবেটিকের পৃষ্টপোষকতায় দর্শকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আয়োজনে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘অ্যাক্রোবেটিক শো’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘কয়েক শত বছর ধরে ‘অ্যাক্রোবেটিক’ বা দড়াবাজি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ১৬৫০ সালে লিখিত ‘মহুয়া পালায়’ অ্যাক্রোবেটিক বা দড়াবাজির উল্লেখ ছিলো, সে হিসেবে তার আগে থেকেই জনপ্রিয় ছিলো অ্যাক্রোবেটিক বা দড়াবাজি। কিন্তু আজ তার অবশিষ্টাংশ কোথাও হয়তো জীর্ণ অবস্থায় টিকে আছে। ব্রিটিশ আমলে যে সার্কাস জনপ্রিয়তা পায় তা আজ প্রায় দেখায় যায় না।’
শনিবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চীন থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেওয়া বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দল পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। এ সম্পর্কে মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি চীনের রাষ্ট্র ও জনগনকে ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশের লুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যকে পুনরায় উত্থানে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। একইসঙ্গে আমাদের প্রশিক্ষিত দড়াবাজিকর ও তাদের প্রশিক্ষকদের আহ্বান জানাই যেন অ্যাক্রোবেটিক ঐতিহ্যের অংশ হয়।’
‘দর্শকদের আহ্বান জানাই আপনারা সার্কাস বা দরাবাজির পাশে দাঁড়ান। উৎসাহিত করেন পৃষ্টপোষকতা করেন। আপনাদের একনিষ্ট সমর্থনেই শিল্পকলা অ্যাকাডেমি সার্কাস আর দড়াবাজিকে সুদৃঢ় অবস্থানে ফিরে নিয়ে যেতে পারবে বলেও যোগ করেন মহাপরিচালক ড.সৈয়দ জামিল আহমেদ।
দর্শকপ্রিয় অ্যাক্রোবেটিক শিল্পকে বিকশিত করার লক্ষ্যে নানামুখী কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি। তার অংশ হিসেবে শনিবার অ্যাকাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে প্রদর্শিত হয় অ্যাক্রোবেটিক শো। এতে পরিবেশিত হয় রোপ রাউন্ড বিল; এ্যারিয়েল হুপ; ব্ল্যাংকেট ব্যালেন্স; ব্যারেল ব্যালেন্স; চেয়ার সেটিং; মাউন স্কিল; দিয়াবো ব্যালেন্স; ফায়ার/ব্যাম্প; রিং ড্যান্স; রোলার ব্যালেন্স; রিং জাম্প ও সৌদিয়াও। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
একসময় বিনোদনের জনপ্রিয় মাধ্যম ছিল সার্কাস। সেখানে থাকতো তাক লাগানো নানারকমের খেলা আর শারীরিক কসরত। সার্কাসের এই প্রধানতম উপাদানের নাম অ্যাক্রোবেটিক। বাংলায় বলে দড়াবাজি। সার্কাসের মতোই দর্শকপ্রিয় এই শিল্পটিও বিলুপ্তপ্রায়।