প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:১৩ পিএম
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকের প্রদর্শনী মাঝপথে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। রবিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে এ কথা জানান শিল্পকলার মহাপরিচালক অধ্যাপক জামিল আহমেদ। তিনি বলেন, পরিস্থিতি দেখে শঙ্কা হয়েছিল শিল্পকলা একাডেমিও আক্রান্ত হতে পারে।
মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ২২ জায়গায় শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা হয়েছে। সেসব মাথায় ছিল। আর এখানে ভেতরে দর্শক ছিল। উত্তেজিত কেউ গিয়ে যদি দর্শকদেরও আক্রমণ করে বসে। দর্শকের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা প্রদর্শনী বন্ধ করি। আমি ভেতরে গিয়ে দর্শকের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল আমি একটা খণ্ডযুদ্ধ করেছি। অনেক চেষ্টা করেছি নাটকের প্রদর্শনী যেন হয়। কিন্তু আমি হেরে গেছি। একটা খণ্ডযুদ্ধে হেরে গেছি। কিন্তু মূল যুদ্ধটা এখনও হারিনি।’
একাডেমির ভেতরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করলেও তাদের সহযোগিতা কেন নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে পাল্টা প্রশ্নে তুলে জামিল আহমেদ বলেন, ‘বল প্রয়োগ করে থামাবেন? নাকি কথা দিয়ে থামাবেন?’
শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় একদল ব্যক্তির বিক্ষোভে মুখে দেশ নাটক দলের আয়োজনে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী মাঝপথে বন্ধ করে দেন আয়োজকরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেছেন, বিকাল থেকে নাটকের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে একদল লোক শিল্পকলার গেটের সামনে দেশ নাটকের সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
পরে একাডেমির মহাপরিচালক জামিল আহমেদ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করলে যথারীতি নাটকের প্রদর্শনী শুরু হয়। কিন্তু পরে বিক্ষোভকারীরা ফের সংগঠিত হয়ে নাট্যশালার গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
একপর্যায়ে তারা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে মহাপরিচালক ‘দেশ নাটকের’ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।