প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১৭ এএম
কুসুম শিকদার
১১ অক্টোবর শুক্রবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে কুসুম শিকদার অভিনীত সিনেমা ‘শরতের জবা’। দীর্ঘ আট বছর বড়পর্দায় দেখা গেল জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীকে। সর্বশেষ আট বছর আগে ‘শঙ্খচিল’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। বাগিয়ে নিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
এবার শরতের জবা নিয়ে তাকে মুখোমুখি হতে হয়েছে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের। আগে শুধু নায়িকা হিসেবে অভিনয় করলেও এবার একাধারে সিনেমাটির পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। একা হাতেই সামলেছেন সব। সঙ্গে অভিনয় তো রয়েছেই।
সেসব চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কুসুম বলেন, ‘বলতে পারেন আমার নতুন ভাবে জন্ম হয়েছে। আগে শুধু নায়িকা হিসেবে সিনেমায় থাকতাম। কিন্তু এবার বড় বড় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। সেজন্য প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কখন রাত, কখন দিন হচ্ছে টেরই পাচ্ছি না। দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন পর্যন্ত কাজে ডুবে থাকতে হচ্ছে।’
তবে সবকিছু কঠিন ও জটিল হলেও দর্শকের কাছাকাছি হওয়ার বিষয়টা উপভোগ করছেন তিনি।
ব্যস্ততা নিয়ে কুসুম বলেন, ‘সিনেমা মুক্তির পর প্রতিদিনই প্রচারে বেরোতে হচ্ছে। বেলা ১১টায় বেরিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে আবার রাত ১১টা বেজে যায়। সিনেমার প্রচার-পোস্ট প্রোডাকশন-ডিস্ট্রিবিউশন সব নিজেকেই করতে হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আগে তো বুঝতেই পারতাম না, একটা সিনেমা মুক্তির জন্য, মুক্তির পর কতটা দৌড়াতে হয়।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক দিন তারকাবহুল নতুন কোনো ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। কুসুম কেন রিস্ক নিলেনÑজানতে চাইলে অভিনেত্রী জানান, ১১ অক্টোবর দিনটা তার কাছে একটা বিশেষ দিন। তাই এ দিনেই ছবি মুক্তি দিয়েছেন।
১১ অক্টোবর ছবি মুক্তি সম্পর্কে কুসুম বলেন, ‘এ দিনে আমার প্রথম পথচলা শুরু হয়। ২০০২ সালে ‘লাক্স–আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমার ভাগ্য বদলে যায়। সে দিনটা কখনও ভুলতে পারব না। যখন সিনেমা মুক্তির তারিখ নিয়ে কথা হচ্ছিল, তখন লক্ষ করলাম পূজা শুরুর পরদিন শুক্রবার ১১ অক্টোবর। সে দিনেই ছবিটি মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কেননা ২০০২ সালের ১১ অক্টোবর আমাকে নতুন জীবন দিয়েছিল। বলতে পারেন ২২ বছর পর এবার আমার নতুন জন্ম হলো।’
তবে ছবি পরিচালনা ও প্রযোজনা করতে গিয়ে কিছু বিপরীত অভিজ্ঞতা হয়েছে কুসুম শিকদারের।
সেসব নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার এত বড় বড় দায়িত্ব নিয়েছি। আশা ছিল যারা কাছের মানুষ ছিলেন, তাদের থেকে কিছুটা সহযোগিতা পাব। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল। নিজের টিম ও পরিবারের মানুষজন ছাড়া বাইরের কারও কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি। এমনকি নিজের কাছে মনে হয়েছে, নারী নির্মাতা ও প্রযোজক হওয়ায় অনেক জায়গায় বঞ্চিত হয়েছি।’
তবে এত কিছুর পরও আশার বাণীই শোনালেন এ অভিনেত্রী। দর্শকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি শূন্য থেকে শুরু করেছি। চেষ্টা করেছি আমার মতো করে সিনেমাটি একটা জায়গায় নিয়ে যেতে। পূজার লম্বা ছুটিতে দর্শক আমার সিনেমাটি দেখুক, আলোচনা করুক, সমালোচনা করুক সেটাই আমার চাওয়া।’