ঢাবিতে গণপিটুতে হত্যা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৩ পিএম
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী । ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে সমাজমাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। নতুন বাংলাদেশে এমন নির্মমতা কিছুতেই মানতে পারছেন না তারা।
তোফাজ্জলের নিহতের ঘটনায় ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি লিখেছেন, ‘তুমি যদি স্বাধীনতার মর্ম না বোঝো, তাহলে তুমি স্বাধীনতার স্বাদ হারাবে। আব্বার কাছে শুনতাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই জোশ চলে আসছিল যে সে-ই সব। সে নিজেই অভিযোগকারী, নিজেই বিচারক, নিজেই এক্সিকিউশনার। হাতে অস্ত্র আছে, অথবা আছে মবের শক্তি। সুতরাং মারো, মেরে ফেল। ফল কী হয়েছিল আমরা জানি।’
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের এমন কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আচ্ছা, স্বাধীনতার পর না হয় একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল, এমন কি যখন আওয়ামী লীগের কঠিন আঁটুনির ভেতর আটকা ছিল দেশ, তখনও কি আমরা বাড্ডার এক মাকে ছেলেধরা সন্দেহে মারিনাই? রংপুরে নামাজের পর এক মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে মেরে পুড়িয়ে দেই নাই?’
কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও কেন ঘটছে এমন ঘটনা? এমন প্রশ্ন তুলে নির্মাতা বলেন, ‘আমি আশা করছিলাম, এই নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাথে সাথে নতুন দায়িত্বের ব্যাপারটা আমরা উপলব্ধি করব। আমাদের দিলে রহম জিনিসটা আসবে। একশ’ জন মববাজি করতে এলে দুজন হলেও রুখে দাঁড়াবে! ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে কি এ রকম চারজন ছাত্র ছিল না রুখে দাঁড়ানোর? এটা লজ্জার, বেদনার।’
সবাইকে দায়িত্ববান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফারুকী শেষে বলেন, ‘সবাই দায়িত্ব নিই চলেন। মববাজি বন্ধ করেন। ফ্যাসিবাদিদের ফাও আলোচনার বিষয় উপহার দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। প্লিজ। আলোচনাটা থাকতে দেন রিফর্মে, ফ্যাসিবাদের বিচারে।’