প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০৮ এএম
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় জুটি সালমান শাহ ও শাবনূর
ঢাকাই চলচ্চিত্রের দ্যুতি ছড়ানো নায়ক সালমান শাহ। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে সিলেটের দাড়িয়াপাড়ায় এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার মতো প্রতিভাবান অভিনেতা ঢালিউডে কমই এসেছেন। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে রুপালি দুনিয়ায় অভিষেক হয় তার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মাত্র তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এর মধ্যে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ১৪টিতে।
শাবনূরের স্মৃতির মানসপটে এখনও সালমান শাহ দেদীপ্যমান। সে কারণে তাকে স্মরণ করতে গেলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এ নায়িকা বলেন, ‘সালমানের মধ্যে ছেলেমানুষি ব্যাপার বেশি কাজ করত। জনপ্রিয় নায়ক হলেও সে ছিল খুবই খোলা মনের একজন মানুষ। কখনও তাকে স্থির থাকতে দেখিনি। খুব প্রাণচঞ্চল একজন মানুষ ছিলেন। ওর মধ্যে ছেলেমানুষি কাজ করত বেশি। মানুষ হিসেবে খুব শৌখিনও ছিলেন। টাকা-পয়সা নিয়ে খুবই উদাসীন ছিলেন। সেভাবে ভাবতেন না। যা আয় করতেন তা-ই খরচ করে ফেলতেন বলা যায়।’
তিনি জানান, গাড়ির প্রতি সালমানের আগ্রহ ছিল খুব বেশি। বাজারে নতুন গাড়ি এলেই কিনতে যেতেন। শাবনূর বলেন, ‘সালমান গাড়ি চালাতে ভালোবাসতেন। মাঝে মাঝে শুটিং শেষ হলে সামিরা, আমার মা ও আমাকেসহ ঘুরতে বের হতেন। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে কান্না পায়। স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি।’
অল্প বয়সে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় শাবনূরের। সালমান শাহ তার অভিনয়ের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিতেন বলে জানান তিনি। তার কথায়, ‘অল্প বয়সে আমার চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু হয়েছিল। পরিচালক যেভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবেই কাজ করে গেছি। কাজ ভালো বা মন্দ কেমন হচ্ছেÑ তা স্পষ্ট করে বলার মতো কাউকে পাশে পাইনি। সালমানের সঙ্গে জুটি হয়ে কাজ শুরু করার পর থেকে ভালো-মন্দের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। একে অন্যের অভিনয় নিয়ে যেমন সমালোচনা করতাম, তেমনি অভিনয়ে নিজেকে ভেঙে আরও কতভাবে উপস্থাপন করা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা করতাম আমরা।’
সালমানই একমাত্র নায়ক, সর্বমহলে যিনি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে এবং তরুণদের স্টাইল আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিলেন। শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির দর্শকদের হলে গিয়ে ছবি দেখার অনভ্যাস দূর করেছিলেন। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অনন্তলোকের পথে পাড়ি দেন তিনি।