প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ১০:০০ এএম
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত ও সিআইএসএফ নারী জওয়ান কুলবিন্দর কউর। প্রবা কোলাজ
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না কঙ্গনা রানাওয়াতের। লোকসভা ভোটে জয়ের আনন্দময় মুহূর্তে হেনস্থার মুখে পড়তে হলো বিজেপির সদ্য জয়ী সংসদ সদস্যকে। সিআইএসএফ নারী জওয়ান কুলবিন্দর কউরের হাতে কঙ্গনা চড় খাওয়ার পর এ নিয়ে হইচই চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পুরো ভারতে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন কঙ্গনাকে থাপ্পড় দেওয়া সেই নিরাপত্তাকর্মী। পাশাপাশি তাকে বহিষ্কারও করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে থাপ্পড় মারা নারী নিরাপত্তারক্ষীর জন্য ইতোমধ্যে পুরস্কারের ঘোষণা এসেছে। পাঞ্জাবের এক ব্যবসায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে এ ঘোষণা দেন। হিন্দুস্তান টাইমসের গত শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। পাঞ্জাবের শিবরাজ সিং বেইনস নামে এক ব্যবসায়ী এক ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে কুলবিন্দর কাউরকে অভিবাদন জানান। বলেন, পাঞ্জাবের জনগণ ও পাঞ্জাবের সংস্কৃতি রক্ষার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এক লাখ রুপি পুরস্কার দেবেন।
এ ঘটনায় নেটিজেনরা প্রায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছেন। কেউ নিরাপত্তারক্ষীর কাজটিকে সমর্থন জানাচ্ছেন। কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন, কর্তব্যরত অবস্থায় কি এই কাজ করা যায়?
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী জানান, মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে শারীরিক হিংসাকে সমর্থন করেন না তিনি। ঋতাভরী বলেন, ‘মহিলা-পুরুষ যে-ই হোন, শারীরিকভাবে হিংসা ছড়িয়ে প্রতিবাদ জানানোকে আমি সমর্থন করি না। সে যেমন প্রতিবাদই হোক না কেন, মারধরে আমি বিশ্বাস করি না। দেশে আইনকানুন এখনও আছে বলেই আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলছেন, ‘জানি, ওই মহিলা (কুলবিন্দর) রেগে আছেন। কঙ্গনা এমন অনেক কিছু করেন বা বলেন, যা আমরা মেনে নিতে পারি না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমি ওকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করব। অপরাধের জবাব কখনও অপরাধ দিয়ে হয় না। প্রতিবাদ করার আরও অনেক ধরন আছে। কারও গায়ে হাত তুলে তা হতে পারে না। তা হলে আর গণতন্ত্রের কী রইল? ধর্ষণের জবাব তো ধর্ষণ হতে পারে না! পশ্চিমবঙ্গের পরিচালক সুদেষ্ণা রায় জানিয়েছেন, তিনি কোনো রকমের হিংসাকে সমর্থন করেন না। তবে কঙ্গনা রানাওয়াত যেসব মন্তব্য করেন, তা-ও তিনি মেনে নেন না। তার কথায়, ‘কঙ্গনা যেভাবে সবাইকে তাচ্ছিল্য করেন, তার জন্য ওই মহিলার (কুলবিন্দর) এটা মনে হতেই পারে। নিশ্চয়ই ওরও খারাপ লেগেছিল। কঙ্গনা নিজে মহিলা মানেই তিনি নির্দোষ, এমন নয়। তিনি নিজেও মহিলাদের ব্যাপারে খারাপ মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু আমি হিংসায় বিশ্বাস করি না বলে চড় মারাকে সমর্থন করি না। কিন্তু ওই মহিলা আজ যদি গালিগালাজও করতেন, তা-ও বিতর্ক তৈরি হতো।’ কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কঙ্গনা একবার বলেছিলেন, ১০০ টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করতে বসেছেন কৃষকরা। এই মন্তব্যের জেরেই ক্ষুব্ধ হন কুলবিন্দর।