প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ০০:২৬ এএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪ ০০:২৭ এএম
দেশে ব্যবসায় শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার। মুবারক আলী ফাউন্ডেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) যৌথ এ উদ্যোগে এই সেন্টারটি চালু করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) বিকালে আইবিএ ক্যাম্পাসে ফিতা কাটার মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর রাজধানীর একটি হোটেলে গালা অনুষ্ঠান হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের শিক্ষা ও ব্যবসা খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রীজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন মুবারক আলী। শুক্রবার ছিল মুবারক আলীর অন্তর্ধানের এক বছর পূর্তি। এ উদ্যোগের পেছনের কারণ তুলে ধরে মুবারক আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমরীন বশির আলী ও তানভীর আলী বলেন, আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারটি শুধুমাত্র একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ভূমিকা রাখবে এমন নয়; পাশাপাশি এ সেন্টার প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত শিক্ষার পরিসর বিস্তৃতিতে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসা ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বৈশ্বিক ব্যবসা ক্ষেত্র সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জনে সহায়তার মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।
এ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে আইবি’র পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. মোমেন বলেন, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নজির স্থাপনে অনন্য ভূমিকা রাখবে।
হার্ভার্ড বিজনেস পাবলিশিং এডুকেশনের দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক দিব্যেশ মেহতা বলেন, আমরা আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। এ উদ্যোগ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের সম্ভাবনা তুলে ধরবে। পাশাপাশি শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থবহ অংশীদারিত্ব কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে তারও অনন্য উদাহরণ তৈরি করবে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর (আইআইএমবি) ডিসিশন সাইন্সেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ইউ দীনেশ কুমার বলেন, আইআইএম বেঙ্গালুরু (আইআইএমবি) আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে গুরুত্বপূর্ণ এ অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ব্যবসায়িক মডেলের কার্যকারিতা বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। কেস স্টাডি তৈরির পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে এ অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করবে।