প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ২২:১৪ পিএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৪ ২৩:২১ পিএম
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এমআইইউ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মানবিক গুণাবলী অর্জন ছাড়া শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। আপনি যত বড় শিক্ষিতই হোন না কেন, যদি মানুষের মতো মানুষ না হন, মানুষের বিপদ-আপদে এগিয়ে না আসেন, তাহলে সেই শিক্ষার কোনো মূল্য নেই।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত বৈশাখী উৎসব ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র শিক্ষার্থীসহ সবাইকে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হওয়ার এ আহ্বান জানান। শনিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গম্ভীরা, সংগীত, কৌতুক পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি ও নাটক-নাটিকা মঞ্চায়নের পাশাপাশি পিঠা-পুলি, চটপটি-ফুসকা, আচারসহ বাঙালি ঐতিহ্যের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য এবং হস্ত ও কারুশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত সড়কটি আল্পনা ও রঙবেরঙের সাজে সাজানো হয়। গ্রামীণ বাংলার বৈশাখী আবহে স্থাপন করা হয় নাগরদোলা। আমন্ত্রিত অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও লোকজ ও বৈশাখী সাজে সজ্জিত ছিলেন। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ। সকালে জমকালো এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টকে একটি সমৃদ্ধ ট্রাস্ট উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এত সমৃদ্ধ ট্রস্টি বোর্ড নেই। আমাদের এ রকম একটি ট্রাস্টি বোর্ড উপহার দেওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এমআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি পরিবার উল্লেখ করে বলেন, সুখে-দুঃখে, বিপদ-আপদে এ পরিবারের সদস্যরা এক ও অবিচল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখছেন, তা বাস্তবায়ন করাই হোক আজকের বৈশাখী উৎসব ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রতিজ্ঞা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার, হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন।
বৈশাখী উৎসবকে বাঙালি জাতির সার্বজনিন উৎসব উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান বলেন, বৈশাখী উৎসবকে সার্বজনীন করার কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে বৈশাখী উৎসব ভাতা চালু করেন। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও বেশাখী ভাতা চালু করে। মানারাতেও এ বছর প্রথম বৈশাখী ভাতা প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আতিকুল ইসলাম। পরে তিনি বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। মধ্যাহ্নভোজের পর আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গম্ভীরা, সংগীত, কৌতুক, কবিতা আবৃত্তি ও নাটক-নাটিকা পরিবেশন করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।