× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি এখন জাতীয় জাদুঘরের দায়িত্বে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ১৭:০৮ পিএম

আপডেট : ০৪ মে ২০২৪ ১৮:১১ পিএম

শনিবার সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে
সাইফ ইমাম জামী জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানের কাছে  চাবিটি হস্তান্তর করেন। প্রবা ফটো

শনিবার সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে সাইফ ইমাম জামী জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানের কাছে চাবিটি হস্তান্তর করেন। প্রবা ফটো

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের দায়িত্ব জাতীয় জাদুঘরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামী শহীদ জননীর নামাঙ্কিত জাদুঘরের চাবি জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এর মাধ্যমে জাতীয় জাদুঘরের নবম শাখা জাদুঘর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলো শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর। 

শনিবার (৪ মে) সকালে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে এক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ চাবি তুলে দেওয়া হয়। তাই এখন থেকে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে জাহানারা ইমামের বাড়ি কণিকায় স্থাপিত জাদুঘরের দেখভাল জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ করবে।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ। 

ইতোমধ্যে শহীদ জননীর পরিবারের তরফে জাদুঘরটিকে ‘দানমূল্যে' লিখে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় জাদুঘর। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম জাদুঘরটি জাতীয় জাদুঘরের নবম শাখা জাদুঘর। ২০০৭ সালে পারিবারিক উদ্যোগে জাহানারা ইমাম জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। জাদুঘরটি স্থাপন করেছিলেন জাহানারা ইমামের ছেলে ও শহীদ রুমীর ছোট ভাই সাইফ ইমাম জামী। 

শনিবারের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে এসে জামী স্মরণ করেন জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শাফি ইমাম রুমীর সহযোদ্ধা, পারিবারিক বন্ধু ও স্বজনদের সহযোগিতার কথা। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জামী। 

অনুষ্ঠানে সাইফ ইমাম জামী বলেন, ‘একাত্তরের ১৭ ডিসেম্বর মেজর হায়দার আমাদের বাড়িতে আসেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানেই শেষ হয় ‘একাত্তরের দিনগুলি’। এরপর প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আনাগোনা লেগেই থাকত। আমি তো বিদেশে থাকতাম। আমার মা বিধবা রমণী থেকে কীভাবে দেশের মানুষের কাছে শহীদ জননী হয়ে উঠলেন তা আমি বুঝতে পারিনি। ৯৪’ সালে মায়ের মৃত্যুর পর তার মরদেহ যখন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হলো, তখন আমি মায়ের প্রতি এ দেশের মানুষের ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে পারি।’ 

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে যুদ্ধাপরাধীদের আগ্রাসন যখন ক্রমশ বাড়ছিল, তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু করেছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গড়ে তুলে তিনি গণ-আদালত গড়ে তুলেছিলেন। তার দেখানো পথে আমরা মফস্বলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। তার সেই আন্দোলনে সফলতা এসেছে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন।’ 

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ ইমামের কথা স্মরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ। একাত্তরের ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-রাজশাহী সড়কের নির্মাণ কাজে শরীফ ইমামদের প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিল। নাসির উদ্দীন ইউসুফ এ সড়কগুলোতে কোথায় কতটি ব্রিজ আছে, তার মানচিত্র চেয়ে নেন শরীফ ইমামের কাছে। সেই সূত্রে জাহানারা ইমামের স্নেহধন্য হয়ে উঠেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। 

শহীদ জননী স্মরণে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন একটি বিনষ্ট সময়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম, তখন ‘বিচিত্রা’, ‘সচিত্র সন্ধানী’-তে  নিয়মিত ছাপা হতে লাগল ‘একাত্তরের দিনগুলি’। ওই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ভিন্ন বয়ান জরুরি ছিল। এই মহীয়সী নারী আমাদের মানবতা ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রার কথা বলেছেন। তিনি ১৯৯২ সালে গণ-আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে যে বিজয় নিশান উড়িয়েছেন তার পথ ধরে ২০ বছর পরে গণজাগরণ মঞ্চের তরুণরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত করেছে। গণ-আদালত আর গণজাগরণ মঞ্চ দুই আমাদের ইতিহাসের বড় অংশ।’ 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব মা তাদের সন্তান হারিয়েছেন আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেই মায়েদের ত্যাগ, তিতিক্ষার কথা জাতির সামনে তুলে ধরব। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা