বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪ ১৭:৫৯ পিএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪ ১৮:৫১ পিএম
শুক্রবার জবি কেন্দ্রে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন সাতজন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী।
স্বপ্ন জয়ের লক্ষ্যে প্রতিবন্ধকতা তাদের পথে বাধা হতে পারেনি। আকাশছোঁয়া স্বপ্ন আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে প্রতিবন্ধকতাকেও হার মানিয়েছেন কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী। স্বপ্ন পূরণে পার করেছেন আরও একটি সিঁড়ি।
শুক্রবার (৩ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন হার না মানা সাতজন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা হলেন- দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইফফাত জাহান বিথী, আবু কারেজ, হুমায়রা জাহান জিনিত, নুসরাত জাহান কাকলী ও হিজবুল্লাহ। তারা পরীক্ষা দিয়েছেন শ্রুতিলেখকের সাহায্য নিয়ে। আর শারীরিক প্রতিবন্ধী আসফিয়া তাসনীম রুহী এবং মো. মাসুদ শাহরিয়ার পরীক্ষা দিয়েছেন বিশেষ ব্যবস্থায়।
ফেনী থেকে আসা আসফিয়া তাসনীম রুহী বলেন, ‘ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পেরেছি। পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা আছে। আশা করি, সেই সুযোগটা পাব।’
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইফফাত জাহান বিথী বলেন, ‘শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ সহযোগিতা করার জন্য।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের উপপ্রধান চিকিৎসক মিতা শবনম বলেন, ‘আমাদের এখানে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়জনের জন্য আগে থেকেই শ্রুতিলেখকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে পাঁচজন ছিল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। পরে পরীক্ষা চলাকালে আরও তিনজনকে শ্রুতিলেখক দেওয়া হয়। এদের মধ্যে দুজনের পা ও পেট ব্যথা শুরু হয়েছিল।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘গুচ্ছের কোর কমিটির যে রুলস ও রেগুলেশন আছে, সেই নিয়মের মধ্য দিয়েই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আবেদন সাপেক্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য শ্রুতিলেখকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদেরও আবেদন সাপেক্ষে মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।’