বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪ ১৫:০০ পিএম
অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ছবি : সংগৃহীত
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার সীমাবদ্ধতাগুলো গণমাধ্যমকে তুলা ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে গুচ্ছের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর সমস্যাগুলো নিয়ে সবারই মাথা ব্যথা রয়েছে। সবাই চেষ্টা করছি সেগুলো থেকে উত্তরণের। আর আমাদের গণমাধ্যম যারা রয়েছে তারা গুচ্ছের সীমবদ্ধতাগুলো যা রয়েছে, সেগুলো তারা গঠণমূলকভাবে তুলে ধরা উচিত। বিশেষ করে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের যে অভিযোগগুলো ছিল তা কতটুকু আমক্রা লাঘব করতে পারছি তা তারা দেখবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি কিছুদিন আগে। সেটা আমাকে দেখতে হবে, বুঝতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ করে আমাদের শিক্ষক যারা আছেন তারা কি চান সেভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল আছে সেখানে আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত হবে।’
গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেরিতে ক্লাস শুরু এবং সেশনজটের বিষয়ে জবি উপাচার্য বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে এবং একটা জট আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলেও এখন কিছু বিভাগে ক্লাস শুরু হয়েছে। তাদের এখনও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। কোটায় ভর্তি প্রক্রিয়াসহ এখনও ভর্তি চলছে। আমরা সেশনজট কাটাতে কি কি করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে ভাবছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন ৬০/৪০ অফলাইন/অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা আছে। আমরাও সেটা নিয়ে ভাবছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ও জট কাটাতে সবধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গুচ্ছের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। খ’ ইউনিটে ছয় হাজার আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দেন রায় মোট ৯৪ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েন ১৫ জন শিক্ষার্থী। এর রমধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের অধীনে পরীক্ষা দিবে মোট ১৯ হাজার ৭৭৩ জন পরীক্ষার্থী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ জবির অধীনে আরও ৩টি উপ-কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মূল কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৩৫২ জন, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার কলেজ দুই হাজার ৭২১ জন, ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ এবং মতিঝিল উচ্চ বালিকাতে পরীক্ষা দিবে ১ হাজার ৫০০ পরীক্ষার্থী। ‘খ’ ইউনিটে দুইটি ইন্সটিটিউট ও ১৫ টি বিভাগে মোট আসন ১হাজার ২৭০।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল গুচ্ছ এ ইউনিটের অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় তীব্র গরমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রের বাইরে সুপেয় পানি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক ও চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়।এতে সেবা নেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বি ইউনিটের পরীক্ষাতেও সেই ব্যবস্থা করা হয়।