বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৪ পিএম
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৪ পিএম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রবা ফটো
তীব্র গরমে জ্বর-সর্দিসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সেবা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থীকে অসুস্থ হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত মেডিকেল সেবা না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করছেন অনেক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে রোগীর মুখের বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সঠিক চিকিৎসার জন্য শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও জেলা সদর হাসপাতালের দ্বারস্থ হন। এ ছাড়া রোগী পরিবহনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। এ ছাড়া শুক্র ও শনিবার মেডিকেল সেন্টার বন্ধ থাকায় বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এই দুই দিনে কেউ অসুস্থ হলে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শহরে যাওয়া ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ খোলা নেই।
শিক্ষার্থীদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সব ধরনের সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া মেডিকেল সেন্টারটি বিকাল ৫টায় বন্ধ হয়ে যায় রাতে কেউ অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হয়। তাই মেডিকেল সেন্টারটি রাতেও খোলা রাখতে হবে।
সম্প্রতি গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দুজন শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হয়েছে শহরে।
তাদের একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাজিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ি। ভার্সিটির মেডিকেল সেন্টার বিকালে বন্ধ থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেরি হয়। বেশি অসুস্থ হলে বন্ধুরা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করে। পরে বন্ধুরা মিলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসি। বিকালে মেডিকেল সেন্টার খোলা থাকলে ক্যাম্পাসেই চিকিৎসা নিতে পারতাম।’
এ ব্যাপারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সহকারী প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহামুদা আক্তার বলেন, ‘বিগত কয়েক দিন যাবৎ যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন তাদের অধিকাংশই ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। আজকেও ৩০ জন এসেছিলেন যারা ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই এ সমস্যাটা দেখা দিয়েছে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, ‘এই সমস্যা দূরীকরণের জন্য আমরা শিগগিরই ব্যবস্থা নেব। মেডিকেলের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্যও আমি কথা বলব।’