× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সেশনজটে বিসিএস দেওয়া হলো না পাবিপ্রবির কয়েকশ শিক্ষার্থীর

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৭ পিএম

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১৩ পিএম

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ফটক। সংগৃহীত ফটো

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ফটক। সংগৃহীত ফটো

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পাঁচ অনুষদের ২১ বিভাগের মধ্যে ছয় বিভাগের কয়েকশ শিক্ষার্থী সেশনজটের কারণে ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। সেশনজট না থাকলে গতবারই বিসিএসে অংশ নিতে পারতেন বলে জানান তারা। এ বছরও মিটল না তাদের সেই আক্ষেপ। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সেশনজটের কারণে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে হতাশ লাগছে। পরিবার, আত্মীয়স্বজনের অনেক আশা ছিল। এ ছাড়াও সেশনজটে পড়ে স্বপ্নপূরণের পথে বাধা আসায় বিদঘুটে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক, ডিন আর উপাচার্যের অবহেলাই এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী।’ 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষক ও ক্লাসরুমের সংকট, প্রশাসনিক জটিলতা, নির্দিষ্ট অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এই সেশনজটের সৃষ্টি হয়েছে। যা দূর করতে আন্তরিকতার অভাব ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অধিকাংশ বিভাগের শিক্ষার্থীর অনার্স শেষ হলেও অবহেলার কারণে কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা এখনও শুরুই হয়নি। 

সূত্রমতে, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ছয়টি বিভাগের তিনটিতে জট রয়েছে। এ কারণে ইংরেজি, বাংলা ও ইতিহাস বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এ বছর বিসিএসে অংশ নিতে পারেননি। এ অনুষদের বাকি তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পেরেছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পদার্থ বিভাগের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এভাবে আর চলে না। করোনাভাইরাস আমাদের শিক্ষাজীবন থেকে প্রায় দেড় বছরের মতো সময় কেড়ে নিয়েছে। এখন যদি এই সেশনজটের কারণে আরও বসে থাকা লাগে, তাহলে আমাদের জীবনের মূল্য কোথায়? এই সমস্যা সমাধানে উপাচার্য, ডিন ও শিক্ষকদের অনুরোধ করছি।’ 

কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিক্ষকরা সব সময় শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক। একজন শিক্ষক চান না কোনো শিক্ষার্থী সেশনজটে পড়ুক। কিন্তু নানাবিধ নিয়ম আর সংকটে সেশনজটের সৃষ্টি হয়। তবে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই সমস্যা থাকবে না। সব বিভাগে একই অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেমিস্টার ফাইনাল শুরু হবে। এসব বিভাগের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পরীক্ষা শেষ করার চেষ্টা করব।’

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক বলেন, ‘একটা সময় একেক বিভাগ পরীক্ষা একেক সময় নিত। এতে করে সেশনজট তৈরি হতো। এখন সমস্যা হয় না। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে একসঙ্গেই সেমিস্টার ফাইনাল হয়। আশা করছি, কিছু দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজটমুক্ত হবে।’


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা