বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩৯ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২১:০৫ পিএম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় উপাচার্য-ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে উপাচার্য-ট্রেজারার ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রশাসনিক ভবনের তিন দপ্তর ঘুরে এই তালা মারা দেখতে পাওয়া যায়। এদিকে ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি’ নিরসনে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় চার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের দপ্তরে তালা লাগানো আছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা সকাল থেকে দপ্তরে আসেননি। এ বিষয়ে কথা বলতে তিনজনের কারোর সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।’
এদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি' নিরসনে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় চার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বুধবার রাতে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা নিরসনে চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মাননীয় উপাচার্য, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার মহোদয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে অবহিত করবেন এবং পরবর্তী দিকনির্দেশনা চাইবেন।
এ ছাড়াও উপাচার্যের কার্যালয়ে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে কমিটি গঠন করা হয়। তৃতীয় সিদ্ধান্ত হলো- শিক্ষকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক গ্রেড-১ ও অধ্যাপক গ্রেড-২ পর্যায়ে উন্নীত করতে গঠিত কমিটির সভা মে মাসের ১৬ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ড. সাদেকা হালিমকে শিক্ষক সমিতির দাবি প্রসঙ্গে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে দাবি নিষ্পত্তিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তবে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবি বাস্তবায়ন না হলে যে কর্মসূচি আছে সেটি চলমান থাকবে।