চুয়েট বন্ধ ঘোষণা
চট্টগ্রাম অফিস ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১২ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৪ পিএম
চুয়েট বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে জব্দ করে রাখা একটি বাসে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ছাত্র নিহত হওয়ার পর আন্দোলনের মুখে উত্তাল চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল ) সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশনা পেয়ে ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে একটি বাসে আগুন দিয়েছে এবং ভিসির কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে অবরোধ করে রাখে।
চুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চুয়েট প্রশাসনের একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় বসে ভিসিসহ সংশ্লিষ্টরা আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটার মধ্যে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয় শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত।
প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত জানার পরপরই ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে তারা ভিসির কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয় এবং কার্যালয় অবরোধ করে রাখে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের ভেতর জব্দ করে রাখা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি কয়েকজন শিক্ষক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে তাদেরও বাধা দেয় তারা।
বাসে আগুন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘চুয়েটের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চতুর্থ দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সহপাঠী হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার চুয়েট প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয় সভার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেনি। বরং একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চুয়েট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এই কারণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয় এবং হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে গত গত সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু এবং একজন আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে আন্দোলন শুরু করেছে চুয়েট শিক্ষার্থীরা।