× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জবি শিক্ষক সমিতির দুই অংশের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

ইউছুব ওসমান

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫৪ পিএম

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ০১:০৮ এএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতিকে নিয়ে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির শিক্ষকদের দুইটি অংশ। শিক্ষক সমিতির প্যাডে দুই অংশের আলাদা আলাদা স্বাক্ষরে পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদলিপি দেওয়ায় শিক্ষক নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৭ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির প্যাডে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মহসীন রেজার সই করা একটি প্রতিবাদ লিপি প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ওই প্রতিবাদলিপিতে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন খবর উল্লেখ করে শিক্ষক সমিতি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এ ধরনের সর্বৈব মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ খবর প্রকাশ শুধু অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম নয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অব্যাহত সুনামকে কালিমালিপ্ত করার অপপ্রয়াস বলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে বলেও উল্লেখ করা হয়।

শিক্ষক সমিতির নামে এই প্রতিবাদ লিপির প্রকাশের পরপরই শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান এর সই করা আরো একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক সমিতির নামে প্রকাশিত পূর্বের প্রতিবাদলিপির সাথে সমিতির সকলে একমত নন এবং এর সাথে তাঁরা সংশ্লিষ্ট নন বলে উল্লেখ করা হয়। এতে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা শিক্ষকদের মধ্যকার বিরোধ প্রকাশ্যে আসে

শিক্ষক সমিতির নেতারা জানান, বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে অনলাইন মাধ্যমে সমিতির দুইটি অংশের অংশগ্রহণেই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় অধ্যাপক আইনুলের বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ লিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে একইসাথে অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়েও প্রতিবাদলিপি দেওয়ার দাবি জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান। তবে বুধবার নিজেদের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্ত জানিয়ে আলাদা করে বিজ্ঞপ্তি দেয় দুইটি অংশ। একটি বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর না থাকায় এবং অপর বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতির স্বাক্ষর না থাকায় এসব বিজ্ঞপ্তি বৈধ কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

এদিকে শিক্ষক সমিতির মধ্যকার এমন প্রকাশ্য বিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে সভাপতির নেতৃত্বে একটি অংশের বক্তব্য সমিতির বক্তব্য বলে প্রচার এবং অপরদিকে সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বের অপর অংশের পালটা বক্তব্যে সমিতির সম্মান খুণ্ণ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা। শিক্ষকদের মধ্যে এমন বিভক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ণ করা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তারা।

এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, শিক্ষক সমিতি হলো সকল শিক্ষককে একত্রিত করার জায়গা। যেখানে আলোচনা করে শিক্ষকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের উন্নয়নেও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, কাজ করা হবে। নিজেদের মতের অমিল থাকতেই পারে। কিন্তু সেখানে এমন প্রকাশ্য বিভক্তি সমিতির এবং শিক্ষকদের সম্মান ক্ষুণ্ণ করছে। সবাই বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসি করছে। এটা কাম্য নয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা নিউজ। একটি পক্ষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। নিউজে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলোর কোনো সোর্স নেই, ভ্যালু নেই। তদন্ত রিপোর্টেও আমার নামে কোনোপ্রকার অভিযোগ নেই। বানোয়াট কাহিনি প্রচার করে সম্মানহানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল সেটা সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমাদের কাছে তদন্ত রিপোর্টও আছে। মঙ্গলবার রাতে অনলাইন মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সমিতির সভায় বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং সেটা সর্বসম্মতভাবে। কিন্তু আজ বিবৃত দেওয়ার সময় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেটা স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর না করায় নিয়মানুযায়ী যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সেখানে স্বাক্ষর করেছে। 

জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসাম বলেন, গতকাল শিক্ষক সমিতির সভায় প্রতিবাদলিপির বিষয়টির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম শুধু অধ্যাপক আইনুল একা নন, আরো যারা শিক্ষক এমন হেনস্তার শিকার হয়েছে, তাদের পক্ষেও প্রতিবাদ লিপি যাতে দেয়া হয়। কিন্তু সেটা হয়নি। তাই আমি আজ স্বাক্ষর করিনি। পরে সেটা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করেছে। যেহেতু আমরা একমত হইনি বিষয়টি নিয়ে এবং প্রতিবাদলিপির ভাষা নিয়েও আমাদের আপত্তি আছে তাই আমরা পরে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমার বক্তব্য স্পষ্ট করেছি। এখানে সমিতিতে দ্বন্দ্ব কিংবা বিভক্তির কিছু নেইম শুধুমাত্র স্পেসিফিক এই বিষয়টি নিয়ে মতের অমিল হয়েছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা