প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৫৭ এএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১:০১ এএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে বিকালে নিয়োগ দিয়ে রাতেই সেই নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র বলছেন, ড. মিজানুর রহমান নানা কারণেই বিতর্কিত ছিলেন। তাকে নিয়োগ দেওয়ার পর তীব্র সমালোচনা শুরু হলে দ্রুত সে নিয়োগ স্থগিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তার নিয়োগের কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯২-এর ১৩ (১) ধারা অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রো-ভিসি) পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ করা হলো। চার বছরের জন্য দেওয়া এ নিয়োগে বেতনসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধার বিষয়টি উল্লেখ ছিল।
এ নিয়োগের পরপরই শুরু হয় মিজানুর রহমানকে নিয়ে নানা সমালোচনা। রাতে শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত আরেক প্রজ্ঞাপনে নিয়োগটি স্থগিত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিক ও শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।’
অধ্যাপক মিজান একসময় সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) পরিচালক ছিলেন। নানা সমালোচনার মুখে ২০২১ সালের নভেম্বরে নিটারের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তী সময়ে কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা মিজানুরের বিরুদ্ধে নিটারের গভর্নিং বডির কাছে লিখিতভাবে যৌন হয়রানি, আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিভিন্ন অভিযোগ করেন। এরপর অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য নিটারের গভর্নিং বডি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুন।
তদন্তে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়নি বলে পরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অভিযোগকারীরা।