বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫৫ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন সাবেক এক নারী শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পাল্টা ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা করেছেন ওই শিক্ষক। সোমবার (১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির কাছে মেইল করে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির প্রধান অধ্যাপক জেবউননেছা।
ওই শিক্ষার্থী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে যৌন হয়রানি অভিযোগ করে বলেন, ‘সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহা আমাকে কাউন্সিলিং করানোর নামে যৌন হয়রানি করেছেন। তিনি আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য রেস্টুরেন্টে পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছিলেন। এসব অত্যাচারে কারণে আমি ঠিকমতো ক্লাস পর্যন্ত করতে পারিনি।’
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘সাজু সাহার জন্য আমি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করতে পারিনি। অন্যসব বিষয়ের চেয়ে ওনার বিরক্ত করা ছিল অন্যতম প্রধান কারণ। স্নাতকের শেষ সেমিস্টার থেকেই আমাকে হয়রানি শুরু করে। যে কারণে শেষ সেমিস্টারে আমার ফলাফলও ভালো হয়নি। আমার কাছে সব তথ্য-প্রমাণ আছে। সময়মতো আমি সব উপস্থাপন করব।’
গত ২৩ মার্চ সামাজিকমাধ্যমে মার্কেটিং বিভাগের বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনার পর দিন ২৪ মার্চ ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শিক্ষক সাজু। এ ছাড়া অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য’ প্রচার করায় নিজে বাদী হয়ে ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা করেন তিনি। এ ছাড়া ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও মার্কেটিং বিভাগের সভাপতির কাছে অভিযোগ দেন ওই শিক্ষক।
এদিকে ছাত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার বিষয়ে সাজু সাহা বলেন, ‘অভিযোগকারী সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আমার মানহানি করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছি। এর আগে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলাম। কিন্তু সে আমার মানহানি করেই যাচ্ছে, তাই আদালতে মামলা করেছি। প্রথমে দারুস সালাম থানায় মামলা করতে গেলে, সেখান থেকে তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।’
এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুল হক বলেন, ‘নিপীড়নবিরোধী সেলে পাঠানো অভিযোগপত্রটি আমিও পেয়েছি। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হোক। অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হবে কি-না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’