পাঁচ শিক্ষার্থীর অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৭ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪ ২১:৩৩ পিএম
শনিবার (৩০ মার্চ) বিকালে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পাঁচ শিক্ষার্থী। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘আবেগকে’ ব্যবহার করে ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ স্বার্থ হাসিল করছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ শিক্ষার্থী। বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাকেই ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩০ মার্চ) বিকালে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই অভিযোগ করেন। এতে অংশ নেওয়া পাঁচ বুয়েট ছাত্র নিজেদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছেলে’ হিসেবে দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, অর্ঘ দাস (২১ ব্যাচ), সাগর বিশ্বাস (২০ ব্যাচ), অরিত্র ঘোষ (২০ ব্যাচ) ও সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের তানভীর স্বপ্নীল (২০ ব্যাচ) উপস্থিত ছিলেন। আরও ২০-২৫ জন উপস্থিত হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ‘বুলিংয়ের’ ভয়ে তারা অংশ নেননি বলে এই শিক্ষার্থীরা দাবি করেন। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে অন্য শিক্ষার্থীদের ‘বুলিংয়ের’ কিছু স্ক্রিনশট সাংবাদিকদের দেখান তারা।
লিখিত বক্তব্যে আশিক আলম বলেন, ‘বুয়েটের সংবিধানে ক্যাম্পাসে সকল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে আইন আছে, আমরা তাকে সম্মান করি। তবে এই সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে গোপনে হিযবুত তাহরীর, ইসলামী ছাত্র শিবিরের মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো কাজ করছে। আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় আমরাও দুঃখিত। তবে সে ঘটনার আবেগকে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামানো হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির সঙ্গে থাকায় হেনস্থার শিকার হচ্ছেন অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘যাদের পরিবার অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের নিয়মিত র্যাগিং, বুলিং, হুমকি ও ভয়ভীতির মধ্যে জীবন কাটাতে হয়। বুয়েটের বাইরে এমনকি এলাকার কোনো প্রোগ্রামে গেলেও জবাবদিহি করতে হয়।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ‘বুয়েটের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আমাদের পক্ষে কেউ নিজের কোনো মতামত রাখতে গেলে তাকেও বুলিং এবং নানা ধরনের হুমকির শিকার হতে হয় এবং আমাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক কিংবা পরিচয় ছিল বিধায় অনেককেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়। পারিবারিকভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে (বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত) পরিচিতি থাকলে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে থাকা হয়, এমনকি পরিবারকে নিয়েও অশালীন মন্তব্য করা হয় অনলাইন ও অফলাইনে।