বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, জাবি
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৫:০০ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪৯ পিএম
১৯৭৩ সালে জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ছবি : সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল ভাঙার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এক বছর আগে মীর মশাররফ হোসেন হল পাঁচ দিনের মধ্যে খালি করতে চিঠি দিয়েছিল রাজউক। তা না হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) বা মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে মতামত জানাতে বলেছিল। কিন্তু তখন মতামত জানানো হয়নি।
এ অব্স্থায় নির্দেশ অমান্য করায় বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্প্রতি ফের চিঠি দিয়েছে রাজউক। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সিন্ডিকেট সভায় বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমদ আনসারীকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক ঝুঁকি নিরূপণ প্রতিবেদন প্রণয়নের পর তা জমা দিলে সিন্ডিকেটে উপস্থাপন হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে ২০২৩ সালের ১২ মার্চ রাজউকের এক সভায় আরবান রেজিলিয়েনন্স প্রজেক্টের আওতায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের ৪২টি ভবন ভেঙে ফেলা বা পরিত্যক্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থাগুলোতে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
১৯৭৩ সালে জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ২ একর ৮১ শতাংশ জায়গাজুড়ে নির্মিত প্রজাপতি আকৃতির এ হলের স্থপতি ছিলেন সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম।