প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ২২:১৯ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ২২:২১ পিএম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সদস্যরা। তাদের সঙ্গে কর্মকর্তা-কার্মচারী ও নার্সরাও অংশ নিয়েছেন। এ সময় উপাচার্যের দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ডা. রাসেল আহমেদকে মারধর বের করে দেন। সুপার স্পেশালাইজড শাখা থেকেও উপচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এক কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়।
উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ মার্চ। এরই মধ্যে গত ১১ মার্চ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। মেয়াদের শেষ সময়ে এসে উপাচার্য শারফুদ্দিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করছেন বলে অভিযোগ। এসব নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সংগঠনটির চিকিৎসকদের অভিযোগ, আগের নিয়োগগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিদায়ের মুহূর্তে আরো শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী অ্যাডহকের মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ বাণিজ্যের এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার থেকে স্বাচিপের নেতারা বিক্ষোভ করছেন।
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো জানান, সাধারণত নতুন উপাচার্য নিয়োগ পাওয়ার পর আগের উপাচার্য শুধু দৈনন্দিন রুটিন কাজ করেন, যা ইতোপূর্বেও হয়েছে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য শতাধিক চিকিৎসক, কর্মচারী ও প্রায় ৩০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। সবাই মনে করছেন, এই নিয়োগের পেছনে অর্থের লেনদেন আছে।
সিন্ডিকেট মিটিং করে তাদের নিয়োগ দিতে না পারলে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। চিকিৎসক, শিক্ষক, বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ ধরনের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিতে বাধা দিয়ে আসছেন। এখানকার ইট-পাথরও জানে, টাকা-পয়সা ছাড়া এখানে চাকরি হয় না। উপাচার্য বিএসএমএমইউকে একটা ব্যবসাকেন্দ্র বানিয়েছেন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য শারফুদ্দিন বলেন, ‘নিয়োগের বিষয়টি আগেই ফয়সালা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তও আগেই গ্রহণ করা হয়েছে। এখন যারা বিরোধিতা করছে তারা কেউ আমার কাছে আসে নাই। সবকিছু স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই হয়েছে।’