বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪ ২০:১৭ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪ ২০:৪৫ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ফটো
পবিত্র রমজানে শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রমজানের অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রমজানের আলোচনা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান আয়োজনে কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রক্টর অফিস থেকে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে রমজানের অনুষ্ঠান আয়োজনে ‘নিষেধাজ্ঞা’ শব্দটি কোথাও উল্লেখ নেই। প্রকৃতপক্ষে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনও রমজানে শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বলাবাহুল্য, প্রতিদিনই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ইফতার মাহ্ফিলের আয়োজন করে আসছে। কতিপয় রাজনৈতিক সংগঠনের অনুসারীরা পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত রীতিনীতি লঙ্ঘিত ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ও সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিধিবদ্ধ রীতিনীতি ও নির্ধারিত স্থান রয়েছে। যা আমাদের সবারই মেনে চলা উচিত। পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এ রকম অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে, যা কোনোক্রমেই কাম্য নয়।
১৩ মার্চ আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান' শীর্ষক আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ ওঠে। এতে অন্তত সাত শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার পর আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় আন্দোলন করেন। পরদিন প্রক্টর, উপাচার্য ও শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।