যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫৮ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪ ১৯:৪১ পিএম
শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন। ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করায় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন
প্রতিরোধ সেলের দেওয়া প্রতিবেদনে আবু শাহেদ ইমন নামের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী
শিক্ষার্থীর করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে যৌন
হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের সিন্ডিকেট সভায়
এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি।
আশা করি, শিগগিরই সেই প্রতিবেদনও আমরা হাতে পাব।’
অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘ওই বিভাগের চেয়ারম্যান
জুনায়েদ হালিম তাকে বিভিন্নভাবে অসহযোগিতা করেছে, তারও সত্যতা পাওয়া গেছে। তাকেও
চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে এবং নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে ভুক্তভোগী
শিক্ষার্থীর বিগত পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে।’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবন্তিকার বিষয়ে সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি
গঠন করা হয়েছে, সে বিষয়েও সিন্ডিকেট সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। স্বাধীনভাবে সুষ্ঠু তদন্ত
হবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে ১৮ মার্চ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে অভিযোগ দেন শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম।
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর ১৯ মার্চ একই অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে আবেদন করেন এই শিক্ষার্থী।
জবির ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের এই ছাত্রী আবেদনে বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উপাচার্যের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করে তিনি এখনও বিচার পাননি। তার বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। ওই শিক্ষকের সমর্থনে বিভাগের চেয়ারম্যান তাকে স্নাতক পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন।
সহপাঠীদের কাছ থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। তারা মৃত্যুর হুমকি দিয়ে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।