বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৯:৪৩ পিএম
জবি ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। ছবি : সংগৃহীত
নিজ বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকির বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে এবার রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের দ্বারস্থ হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকালে তিনি আবেদনটি বঙ্গভবনে জমা দেন। আবেদনে আচার্যের কাছে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের বিচার চেয়েছেন। আবেদনের একটি অনুলিপি প্রতিদিনের বাংলাদেশের কাছে এসেছে।
বঙ্গভবন নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শচীন ভৌমিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একটি আবেদন এসেছে। সেটি গ্রহণ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবেদনপত্রে মীম উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উপাচার্যের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করে তিনি এখনও পাননি। তার বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। ওই শিক্ষকের সমর্থনে বিভাগের চেয়ারম্যান তাকে স্নাতক পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন। সহপাঠীদের কাছ থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। তারা হুমকি দিয়ে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। ফলে তিনি বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসেন। সর্বশেষ আশা-ভরসা নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন।
আবেদনপত্রে তাকে ফেল করানোর বিষয়গুলো বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে তার জীবন পুনরুদ্ধারের আরজি জানান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম তখন যৌন নিপীড়ন সেলের দায়িত্বে থেকেও তিনি বিচার পাননি বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি তার আবেদনের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেননি বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম।
অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল সে হল থেকে বের হওয়ার পর তার আর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। তাকে অনেকবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আবার অনেক সময় ফোন ঢুকলেও সে রিসিভ করছে না। আমরা তার আবেদনের কোনো অনুলিপি পাইনি।’
এ বিষয়ে কাজী ফারজানা মীমের সঙ্গে কথা বলতে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এক শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের এই অভিযোগ সামনে এনেছেন মীম। দুদিন আগে তিনি গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তরে গিয়েও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন।