অবন্তিকার ‘আত্মহত্যা’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:০০ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৬ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে আয়োজিত প্রতীকী সমাবেশে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিচার এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করার দাবিতে প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আয়োজিত প্রতীকী সমাবেশে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী কিশোর সাম্য বলেন, বর্তমান উপাচার্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঠিক আছে। কিন্তু প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর যে কাজটি প্রতিনিয়ত করে এসেছে তা হলো গাফিলতি। সেজন্য আমরা প্রশাসনকে লালকার্ড দেখিয়েছি। আমাদের দাবি হচ্ছে সিন্ডিকেটের প্রভাবমুক্ত একটি কার্যকরী নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন করতে হবে। যেখানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ থাকবে, বাইরের বিশেষজ্ঞদেরও অংশগ্রহণ থাকবে। আগের সব ধরনের নিপীড়নের ঘটনায় দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সমাধান করতে হবে।
সমাবেশে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ সাকিব সোবহান বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি করোনার সময় কুকুরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া টাকা মেরে খেয়েছে। আজকে সেই প্রক্টরিয়ার বডি নিপীড়নবিরোধী সেলের নামে ডামি সেল গঠন করে রেখেছে। প্রক্টরিয়াল বডি যখন তখন ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে মুচলেকা সংগ্রহ করত। এখন থেকে সেই খেলা আর চলবে না। যৌন নিপীড়ন সেলে ছাত্র-শিক্ষকসহ বাহির থেকে ম্যাজিস্ট্রেট এনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নিপীড়কবিরোধী সেলের নামে টর্চার সেল যারা তৈরি করে রেখেছে, সেই প্রক্টর অফিসে আমরা সাত দিনের মধ্যে তালা ঝুলিয়ে দেব।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, জগন্নাথে যেকোনো নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিব। এখানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল থাকলেও তার কোনো কার্যক্রম নেই। এটি কার্যকর করতে হবে। এটিকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সেখানে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে। যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। শুধু কিছু প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না। যখন একটা ঘটনা সামনে আসছে, তখন তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হচ্ছে, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, আমরা এভাবে আর এগোতে চাই না, আমরা আরেকটি অবন্তিকাকে দেখতে চাই না, আরেকটি অংকনকে দেখতে চাই না। আমাদের আন্দোলন ততদিন পর্যন্ত থাকবে, যতদিন পর্যন্ত একটা স্থায়ী সমাধান না হচ্ছে।