× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অবন্তিকার আত্মহননের নেপথ্যের কারণ কী?

ইউছুব ওসমান

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১০:২০ এএম

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৫ এএম

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা

মাত্র সপ্তাহ দুই আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক কনসার্টে উপস্থাপনা করেছিলেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানসার আক্রান্ত এক শিক্ষার্থীকে সহায়তার জন্য ছিল এই কনসার্ট। সেখানে উপস্থিত হাজারো শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যা প্রতিরোধের বার্তা দেন অবন্তিকা। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে নিজেই আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি, যা তার সহপাঠীরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।

অবন্তিকার সহপাঠী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, অবন্তিকা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে কাজ করতেন। বাংলাদেশ বেতারেও অবন্তিকা উপস্থাপনা করতেন। ক্যাম্পাসের কুকুর-বিড়ালদের খাবার দিতেন; বিপদে পড়লে উদ্ধার করতেন। সবসময় খুব হাসিখুশি থাকতেন অবন্তিকা। প্রথম সেমিস্টারে তিনি প্রথম হয়েছিলেন। প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় অবস্থানে থাকতেন সবসময়। পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় শিক্ষকরা তাকে স্নেহ করতেন। 

রঙ তুলি ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে যুক্ত ছিলেন অবন্তিকা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সাইফ বাবু বলেন, ‘অবন্তিকা আমাদের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। পাশাপাশি তার আগ্রহের বিষয় ছিল পাবলিক স্পিকিং ও লিডারশিপ। মেন্টাল হ্যারাসমেন্ট (মানসিক নিপীড়ন) নিয়েও অবন্তিকা অনেক কাজ করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজে যে দুই বছর ধরে হ্যারাসমেন্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা আমরা বুঝে উঠতে পারিনি।’

সহপাঠীদের সঙ্গে অবন্তিকার দ্বন্দ্ব ছিল বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। বিভাগীয়ভাবে সমস্যাটির সমাধান করা হলে অবন্তিকা আত্মহননের পথ বেছে নিতেন না বলে মনে করেন তার সহপাঠী-বন্ধুরা।

শুক্রবার রাতে অবন্তিকার মৃত্যুর পর থেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের বিচার দাবিতে উত্তাল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গলায় ফাঁস দেওয়ার আগে ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে হয়রানি, হুমকি এবং ‘সেক্সুয়াল অ্যাবিউজিভ কমেন্ট’ করার অভিযোগ করেন। আত্মহত্যার জন্য তারা দুজন দায়ী বলে তিনি ওই পোস্টে জানান। ‘সুইসাইড নয়, টেকনিক্যালি মার্ডার’ বলেও তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য আরও ছয়জনকে দায়ী করেছেন। তার অভিযোগ, এই ছয়জন বিভিন্নভাবে তার মেয়েকে হয়রানি করে আত্মহত্যায় বাধ্য করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রশাসনকেও অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন তিনি।

গতকাল শনিবার বাদ জোহর কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে ও বিকালে শহরতলির শাসনগাছা এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দফন করা হয়।

সহপাঠীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২২ সালের আগস্ট মাসের শুরুর দিকে ‘রহমান শিকাদর’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে আইন বিভাগের ১৪ শিক্ষার্থীর নামে অপ্রীতিকর প্রচার চালানো হয়। ১৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে অভিযুক্ত আম্মানও ছিলেন। এরপর একই বছরের ৪ আগস্ট ১৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে কয়েকজন রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন। জিডিতে ফেইক আইডি খুলে অপ্রীতিকর মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ আনা হয় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে। জিডিতে অভিযোগকারীদের মধ্যে অবন্তিকাও ছিলেন।

অবন্তিকার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেন আম্মানসহ তাদের ১০ সহপাঠী। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা। তদন্তে জানা যায়, ওই ফেইক আইডি খুলেছেন অবন্তিকা। ১০ আগস্ট অবন্তিকাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল।

পরে অবন্তির বাবা মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে আসেন এবং তার উপস্থিতিতে আম্মান ও তার সহপাঠীদের অভিযোগের সুরাহা হয়। অবন্তিকা ফেইক আইডি খুলে আম্মানসহ সহপাঠীদের নামে মিথ্যা প্রচারণার জন্য ক্ষমা চান। সে সময় অবন্তিকার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিডি তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান অবন্তিকার বাবা-মা। তবে জিডি তুলে নেননি তার সহপাঠীরা।

তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘মেয়েটির বিরুদ্ধে আম্মানসহ কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ দিয়েছিল। আমরা মেয়েটির বাবাসহ সবাইকে ডেকে কথা বলি। সে সময় বিষয়টির সুরাহা হয়ে যায়।’ জিডির দায়িত্বে থাকা কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই রুবেল খান বলেন, ‘ফেইক আইডি খুলে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে একটি জিডি আসে। সেখানে কোনো বিবাদীর নাম ছিল না। অবন্তিকা নামের সেই মেয়েটিও সেখানে ছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় তারা নিজেরা সমাধান করবে। তারা মেয়েটির বাবাকে ডেকে বিষয়টির সমাধান করেছে বলে শুনেছি।’ 

এ বিষয়ে আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এর আগে শুক্রবার রাতে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি ও ডকুমেন্ট ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘একজন মারা গেছে। তার জন্য দুঃখ পাওয়াটা অবশ্যই যৌক্তিক ও স্বাভাবিক। আমি নিজেও ব্যথিত এবং মানতে কষ্ট হচ্ছে যে, এমন একটা তুচ্ছ ঘটনাকে মাথায় রেখে দুই বছর পরে এসে এমন একটা কাজ করবে অবন্তী। আপনাদের মাথায় আসছে না যে, যদি আমি অনলাইনে কোনোভাবে ডিস্টার্ব করতাম তবে সে স্ক্রিনশট অবশ্যই দিতে পারত। সে সেটা কেন দিল না?’

দ্বন্দ্বের সুরাহা হলেও আত্মহত্যা কেন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবন্তিকা ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে প্রক্টর অফিসে একটি পাল্টা অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি আম্মান সিদ্দিকীর দ্বারা হেনস্থা ও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ দেন। প্রক্টর অফিস থেকে বিস্তারিত শোনার জন্য অবন্তিকাকে ডাকা হলেও তিনি প্রক্টর অফিসে আসেননি। তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অবন্তিকা আম্মানের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দেওয়ার পর আমরা তাকে অফিসে ডাকি। যেহেতু আগে বিষয়টি সমাধান হয়েছিল, তাই আমরা তাকে ডেকে বিস্তারিত শুনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে আর আমাদের সঙ্গে দেখা করেনি।’

ফেসবুকের সুইসাইড নোটে অবন্তিকা সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে যে হয়রানি এবং ‘সেক্সুয়ালি অ্যাবিউজিভ কমেন্ট’ করার অভিযোগ তুলেছেন তা অস্বীকার করেছেন দ্বীন ইসলাম। অবন্তিকাকে সাতবার অফিসে ডেকে হয়রানি করার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও গণমাধ্যমে দাবি করেছেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অবন্তিকার কয়েকজন বন্ধু ও সহপাঠী জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরে অবন্তিকা প্রায়ই বিষণ্ন থাকতেন। তবে মানসিকভাবে দারুণ শক্তিশালী হওয়ায় অবন্তিকার আচরণে তার সুস্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। সহপাঠী-বন্ধুরা মনে করছেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিডি আত্মহত্যার একটি কারণ হতে পারে। তবে তারা তদন্ত করে আসল কারণ খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন। অবন্তিকার মায়ের বক্তব্যেও উঠে এসেছে জিডির বিষয়টি। মীমাংসার পরও জিডি তুলে না নেওয়ায় বেশিরভাগ সময় অবন্তিকা বিষণ্ন থাকতেন বলে অভিযোগ করেছেন মা। তিনি বলেন, ‘মানসিকভাবে অবন্তিকা ভেঙে পড়েছিল।’ অভিযোগ বিষয়ে দ্বীন ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অভিযোগ নিষ্পত্তির তিন মাসেরও কিছুদিন পর অবন্তিকা এবং তার বাবা-মা প্রক্টর অফিসে জিডি তোলার জন্য আসেন, কিন্তু তার সহপাঠীরা জিডি তুলতে অসম্মতি জানায়।’

আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবন্তিকার মায়ের

অবন্তিকার আত্মহত্যার জন্য আরও ছয়জন দায়ী বলে মনে করছেন তার মা তাহমিনা শবনম। তার অভিযোগ, ‘আমার মেয়েকে হয়রানির কথা বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার জানিয়েও বিচার পাইনি। এ কারণেই অবন্তিকা আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।’ সহপাঠী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ছাড়াও তিনি রাফি, মাহিয়ান, লাকি, রিমি, আঁখি ও বন্যা নামে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আটজন মিলে আমার মেয়ের জীবনটাকে বিষিয়ে তুলেছিল। তারা বিভিন্নভাবে আমার মেয়েকে হয়রানি করে আজকের অবস্থা সৃষ্টি করেছে।’ কুমিল্লার বাসায় বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ‘আমি তো কোনো দিন কারও কোনো ক্ষতি করিনি। আমার মেয়ে তো চলে গেল। এক বছর আগে আমার স্বামীও চলে গেছে। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব। আমার জীবনের কোনো মানে নেই। ছেলেসহ আমি সুইসাইড করলেও কোনো মানে থাকবে না।’

অবন্তিকা মানসিক নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে মা শবনম বলেন, ‘ঢাকায় মেয়েটা কলতাবাজারে ছিল। ইউনিভার্সিটির ছেলেগুলো ওই বাসা পর্যন্ত গিয়ে জানিয়েছে যে, ওর নামে জিডি আছে। ওই বাসার মেয়েরা তো এসব জানার কথা নয়। আমার মেয়ে এসে বলছে, মা, ওরা তো আমাকে এইভাবে মেন্টাল টর্চার করতেছে। আমি পড়তে পারছি না। পুলিশ দিয়ে আমাকে ফোন দিয়েছে। শুনেছি পুলিশ তাদের এলাকার ভাই।’ শবনম বলেন, ‘পরে আমি আমাদের পরিচিত এক ডিআইজিকে ফোন দিয়েছি। উনি বলেছেন, ভাবি আপনি আমাকে বলতেন, আমি ব্যবস্থা নিতাম।’

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানের কাছেও গিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানকে ১০টা নাম দিয়ে আসছি আমি। চেয়ারম্যান আমার সামনেই প্রক্টরকে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলল। প্রক্টর কী ব্যবস্থা নিল?

বাবার মৃত্যু নিয়েও অবন্তিকাকে হয়রানি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মেয়েটাকে বলেÑ তোর বাবার কাছে তুই যাস নাই? তোর বাবা হাসপাতালে ছিল তুই প্রোগ্রাম করিস। আর দেখলেইÑ বাবা নাই, মানসিক সমস্যা হচ্ছে না? আহারে বাবাটা মরে গেল, মানসিক সমস্যা হচ্ছে? মানে সর্বদিকে মেয়েটাকে মেন্টাল টর্চারে রাখছে। তাহলে এই টর্চারের উত্তর আমি কী চাইব? কার কাছে চাইব?

প্রতিবাদ বিক্ষোভ

অবন্তিকার মৃত্যুর পরপরই শুক্রবার মধ্যরাত থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তাল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাত থেকেই আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা শনিবার বিকালে বিক্ষোভ-সমাবেশও করেন। এ সময় তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলোÑ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করা; আম্মানকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি, শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনা; অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার; ভিকটিম ব্লেমিং এবং ভিকটিমের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করা এবং নারী নিপীড়ন সেল কার্যকর করা।

অবন্তিকার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়ও এই মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে কুমিল্লার বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা বলছে

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি শিগগির তদন্ত শুরু করবে বলে জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, তদন্তের জন্য কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা ১২ ঘণ্টার কথা বলছে যা অবাস্তব। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন আছে। সেই আইন মেনে কাজ করতে হয়। সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি হয়েছে। ইতোমধ্যেই দ্রুত সিন্ডিকেট সভা আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, তারা সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। তা ছাড়া এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটা ঘটনারও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। আর আমার হাতে যত আইন আছে, সব আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করব। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা