বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪ ১৮:১১ পিএম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ফাইল ফটো
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রধান প্রকৌশলী শাহীন ইসলাম খানসহ অন্য প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মেরামত ও সংস্কার কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে বাকৃবি উপাচার্যের কাছে কাগজপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এমরান হোসেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পাঠানো ওই চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে হওয়া সংস্কার কাজের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।
এমরান হোসেন স্বাক্ষরিত দুদক পাঠানো চিঠি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে শহীদ শামসুল হক হল, শহীদ নাজমূল আহসান হল ও আশরাফুল হক হলের মেরামত ও সংস্কার কাজ, ২০১৯ সালে বাকৃবির মূল গেইট নির্মাণের কাজ, ২০২২ সালে সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও আইসোলেশন ভবনের আংশিক নির্মাণ ও বিভিন্ন মেরামত কাজ, ২০২৩ সালে বাকৃবি কমিউনিটি সেন্টার মেরামত ও সংস্কার (সিভিল ও ইলেকট্রিক্যাল) কাজ, ২০২০ সালে ঈশা খাঁ হল ও শাহজালাল হলের মেরামত ও সংস্কার কাজ, ২০১৯ সালে সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও বিভিন্ন মেরামত কাজ, ২০২২ সালে সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও আইসোলেশন ভবনের আংশিক নির্মাণ ও বিভিন্ন মেরামত ও সম্প্রসারণ এবং ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ছাত্রী হলের বিভিন্ন মেরামত ও সংস্কার কাজের রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখিত এসব কাজের অনুমোদিত প্রাক্কলন, নকশা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটির প্রতিবেদন, দরপত্র বাছাই ও মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন, কার্য সম্পাদন জামানতের প্রমাণপত্র, কার্য সম্পাদনের প্রত্যয়নপত্র, নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড, চুক্তিপত্র, জামানত, বিল ভাউচার, চেকের মুড়ি, প্রজেক্ট সমাপ্তের সনদ, সম্পাদনের জামানত অবমুক্তির নথিপত্রসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আগামী ১০ মার্চের মধ্যে দুদক কার্যালয়ে পাঠাতে জন্য বলা হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী শাহীন ইসলাম খান এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা আমাদের দিক থেকে স্বচ্ছ। বেনামে কেউ একজন দুদকে অভিযোগ দিয়েছে। স্বচ্ছতা যাচাইয়ের জন্যে দুদক থেকে এসব কাগজ চাওয়া হয়েছে। উপাচার্য মহাদয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা কাগজপত্র প্রস্তুত করছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দুদকের কাছে কাগজগুলো দিতে পারবো বলে মনে করছি।’
এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘দুদক থেকে তদন্তের স্বার্থে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। আমি প্রধান প্রকৌশলীকে কাগজপত্রগুলো দিতে বলেছি। কেউ একজন হয়তো অভিযোগ দিয়েছে, সেটির স্বচ্ছতা এবং প্রাথমিক তদন্তের জন্যে তারা কাগজপত্র চেয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও কিছু প্রমাণিত হয়নি।’