জাবি ভর্তি পরীক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:১১ এএম
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৫৬ এএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শ্রুতিলেখক পরিবর্তনের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন পাঁচ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তাদের ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র ও পরীক্ষার রোল নম্বর বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই ঘটনায় একজন শ্রুতিলেখককে মোবাইল কোর্টের শাস্তি অনুযায়ী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ওই শিক্ষার্থীর নাম সাগর হোসেন ওরফে রোহান। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায়। ঢাকার একটি কলেজে ইতিহাস বিভাগে (২০২০-২১ সেশন) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি।
ঢাকার আশুলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুর রহমান বলেন, রোহানকে পাবলিক পরীক্ষা আইন-১৯৮০-এর ৩ (খ) ধারা অনুযায়ী এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র ও রোল নম্বর বাতিল করা শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, রাজু আহমেদ, মো. টুটুল হাসান, মো. মেহেদী হাসান ও আওয়াল হোসেন আরাফাত। এদের সবার ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিকী অনুষদ)-এর ভর্তি পরিক্ষার উত্তরপত্র বাতিল করা হয়। এ ছাড়া মো. মেহেদী হাসান ও আওয়াল হোসেন আরাফাতের বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় ‘বি’ ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদ)-এর এবং রাজু আহমেদের ‘ই’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ)-এর ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বরও বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এ ছাড়া পরীক্ষা দিতে এসে অশোভনীয় আচরণ করায় সাজিদ হাসান নামে ভর্তিচ্ছুর শিক্ষার উত্তরপত্র ও রোল নম্বর বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় ‘বি’ ইউনিটের (সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার জন্যও তার রোল নম্বর বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার উত্তরপত্র বাতিলকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাজিদ হাসান পরীক্ষার আগে কেন্দ্রের শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এক রোভার স্কাউট সদস্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বাকি পাঁচজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শ্রুতিলেখক সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত শ্রুতিলেখক পরিবর্তন করে অন্য শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমরা যাদের বিরুদ্ধে শ্রুতিলেখক পরিবর্তন করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অভিযোগ পেয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি দিয়েছি। যারা এ চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে নিয়ম মোতাবেক পদক্ষেপ নেব।’