জোনায়েদ মানসুর
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪০ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৮ পিএম
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আবদুস সবুর খান। ছবি সংগৃহীত
দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আবদুস সবুর খান। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়-সম্পর্কিত আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে।
প্রবা : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বাংলা ভাষা অবহেলিত। এ বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।
আবদুস সবুর খান : প্রথমদিকে কিছুসংখ্যক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা অবহেলিত ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আউটকাম বেজড এডুকেশন (ওবিই) শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও বাংলাদেশবিষয়ক পাঠদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলা ভাষা অবহেলিত’, এ কথা বলার অবকাশ নেই।
প্রবা : আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তির উৎস কোথায়?
আবদুস সবুর খান : শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, এই ধারণা পূর্ণ সত্য নয়, সত্য হচ্ছে, নৈতিক শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার সঙ্গে নৈতিকতার সংযোগ না থাকলে সে শিক্ষা নৈতিক মানুষ তৈরি করতে পারে না। গুণগত নৈতিক শিক্ষা প্রদান করাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষত্ব। এটিই আমাদের বিশেষত্ব, এটিই শক্তির মূল উৎস।
প্রবা : মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কতটি বিভাগ বা অনুষদ চালু আছে?
আবদুস সবুর খান : আটটি বিভাগে মোট ১৪টি প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বেশিরভাগই বিজ্ঞানবিষয়ক। বাণিজ্য এবং কলা ও মানবিক অনুষদেও কয়েকটি বিভাগ রয়েছে।
প্রবা : জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
আবদুস সবুর খান : শিক্ষার্থীদের জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চা ও নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরিতে রয়েছে পৃথক পৃথক বৈশিষ্ট্যের ১৪টি ক্লাব। নিয়মিত স্টাডি ট্যুর, সাংস্কৃতিক উৎসব, খেলাধুলা, বিতর্ক প্রভৃতি কো-কারিকুলামও হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা সাংস্কৃতিক সপ্তাহের আয়োজন করেছি।
প্রবা : প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় খেলাধুলার সুযোগ থাকে না। মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোনো উদ্যোগ আছে কি?
আবদুস সবুর খান : আমাদের দুই ক্যাম্পাসেই খেলার মাঠ রয়েছে। আশুলিয়া মডেল টাউনে অবস্থিত ক্যাম্পাসে ইনডোর গেমসগুলোর জন্য স্পোর্টস রুম রয়েছে। ছাত্রদের জন্য প্রায় ২৩ হাজার ও ছাত্রীদের জন্য ৬ হাজার স্কয়ার ফুটেরও বেশি আয়তনের আলাদা খেলার মাঠ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকতা, কর্মচারীদেরও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা হয়।
প্রবা : ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাই।
আবদুস সবুর খান : তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ জনগোষ্ঠী সৃষ্টি না হলে আধুনিক স্মার্ট বিশ্বে কোনো দেশই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। আগামী বছরগুলোয় তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কয়েকটি নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যমান বিভাগগুলোতেও শিক্ষাসহায়ক সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের আধুনিক বিশ্বের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই।
প্রবা : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আবদুস সবুর খান : প্রতিদিনের বাংলাদেশকেও ধন্যবাদ জানাই।