বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:০২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজধানীর গেস্ট হাউজ উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে শিক্ষক সমিতি। তারা আগামী ১ মার্চের মধ্যে গেস্ট হাউসটি 'অবৈধ দখল' থেকে মুক্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়েছে। তবে উপাচার্য এই অভিযোগের ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত এই চিঠি বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থে কাজ করে থাকে। গত দুই বছর শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম না থাকার সুযোগে উপাচার্য তার গেস্ট হাউজটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গেস্ট হাউজে থাকতে চাইলে উপাচার্য তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট নয়, এমন ব্যক্তিদের গেস্ট হাউজে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বসবাস করার অনুমতি দেন। যে ভবনে গেস্ট হাউজটি অবস্থিত, সেখানকার লগবই, গেস্ট হাউজের লগবই এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ সম্পর্কে সকল তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা সম্ভব বলে চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে উপাচার্য আবদুল মঈন বলেন, ‘গেস্ট হাউজ কুক্ষিগত করার আমার কী দরকার? উপাচার্যের জন্য সেখানে আলাদা কক্ষ আছে। আমি সেই চাবিটিই রেখেছি। আগে সেখানে যার যতদিন ইচ্ছা থাকতেন। সেখানে আমি একটা শৃঙখলা আনার চেষ্টা করছি। সেখানে যাওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়ে এস্টেট দপ্তর থেকে চাবি নিয়ে যাবেন তারা। এখানে আমার কাছে আসার কিছুই নেই।’
তিনি আরও বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ তৈরি করতে প্রয়োজন ভিশন, প্যাশন, পলিসি ও কঠোর শ্রম। নাম কুড়াতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু এমন কয়েকটা ইস্যু মুহূর্তেই সব নষ্ট করে দেয়। এতে করে ভালো শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসতে চাইবে না। ২০১৪ সালে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. মো. আলী আশরাফের সময়ে রাজধানীর কমলাপুরে এই গেস্ট হাউজটি ক্রয় করা হয়।