শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০২ পিএম
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৭ পিএম
শেরপুরের শ্রীবরদীর আয়শা আইন উদ্দিন মহিলা কলেজ কেন্দ্র। ছবি : সংগৃহীত
শেরপুরের শ্রীবরদীতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আয়শা আইন উদ্দিন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কক্ষ থেকে একজন পরীক্ষার্থীর খাতা হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও খাতা পাওয়া যায়নি।
অফিস সহকারীর নাম মাছুদা আক্তার। তিনি বানিবাইদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী।
এ ঘটনায় চারজন কক্ষ পরিদর্শককে অব্যাহতি দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের নাম উল্লেখ করে কেন্দ্র সচিব সাইফুল ইসলাম শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্র সচিব সাইফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার আয়শা আইন উদ্দিন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ১৫ নম্বর কক্ষে মথুরনাথ বিনোদনী পাইলট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৯ শিক্ষার্থী ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তবে পরীক্ষা শেষে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শকরা সহকারী কেন্দ্র সচিবের কাছে ৭৯টি ওএমআর শিট জমা দিলেও খাতা জমা দেন ৭৮টি।
ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেন বানিবাইদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোছা. মারুফা আক্তার, সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, অফিস সহকারী মাছুদা আক্তার ও গোপালখিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক কারিমা খাতুন। পরীক্ষার্থীর খাতা হারোনোর বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তবে কোন পরীক্ষার্থীর খাতা হারিয়েছে তা জানা যায়নি।
ওই কক্ষে পরীক্ষা দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ‘কেন্দ্র থেকে কীভাবে খাতা হারিয়ে যায়। আমাদের জীবনের একটি অধ্যায় হচ্ছে এ পরীক্ষা। আর পরীক্ষার খাতা হারিয়ে গেলে, আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
আয়শা আইন উদ্দিন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের সহকারী কেন্দ্র সচিব বানিবাইদ এএএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘যে শিক্ষকের ডিউটি ছিল তিনি পিকনিকে গিয়েছিলেন। তাই শিক্ষক না থাকায় অফিস সহকারী মাছুদা আক্তারকে দিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করানো হয়েছে।’
কেন্দ্র সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খাতা হারানোর বিষয়টি জানার পর আমরা ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত চারজনকে অব্যাহতি দিয়েছি। তাদের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।’
একজন অফিস সহকারী কীভাবে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ওই কেন্দ্রের সহকরী কেন্দ্র সচিব আমাকে লিখিত দিয়েছিল যে তিনি একজন সহকারী শিক্ষক।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, ‘দায়িত্ব অবহেলার কারণে ১৫ নম্বর কক্ষে দায়িত্বরত চারজনকে এসএসসি পরীক্ষার পরবর্তী সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’