বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:০৭ পিএম
ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান। প্রবা ফটো
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরিয়াল বডির অব্যবস্থাপনা এবং ব্যর্থতার অভিযোগে আরেক সহকারী প্রক্টর ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এই পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ শিক্ষকরা উপাচার্য দপ্তরে উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে যায়। পরে প্রক্টরের ইন্ধনে অযাচিতভাবে কিছু সংখ্যক বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী উপাচার্য মহোদয়ের উপস্থিতিতে শিক্ষক সমিতির সদস্যদের উপর হামলা করে। অনুরোধ করা সত্ত্বেও হামলাকারীদের নিবৃত করা যাচ্ছিল না। দফায় দফায় হামলাকারীরা সাধারণ শিক্ষকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি এই হামলার ঘটনায় প্রক্টর এবং প্রক্টরিয়াল বডির ব্যর্থতা হিসেবে মনে করছি এবং এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। এ পরিস্থিতিতে, প্রক্টরিয়াল বডির অব্যবস্থাপনা এবং ব্যর্থতার কারণে প্রক্টরিয়াল বডির একজন সদস্য হিসেবে কাজ করতে আমি বিব্রতবোধ করছি। এমতাবস্থায়, প্রক্টরিয়াল বডির ব্যর্থতার প্রতিবাদ হিসেবে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে আমি পদত্যাগ করছি এবং আমার এই পদত্যাগ পত্র আবেদনের তারিখ হতে কার্যকর করার জন্য অনুরোধ করছি।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা এবং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মসহ আট কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভুঁইয়া। এ ছাড়া ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছিলেন সহকারী প্রক্টর ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান।