ভুয়া পরীক্ষার্থী
নওগাঁ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩৩ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৮ পিএম
নওগাঁর সাপাহার সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয় ভুয়া শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে দাখিল পরীক্ষা দেওয়ানোর ঘটনায় ৫৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ভুয়া পরীক্ষার্থীদের আটকের পর বয়স বিবেচনায় (১৮ বছরের নিচে) মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আট প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সচিবকে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন। তিনি বলেন, দ্রুত এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেও বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো মাদ্রাসাগুলো হলো—সাপাহারের সিমুলডাঙা দাখিল মাদ্রাসা (সদ্য এমপিওভুক্ত), মানিকুড়া দাখিল মাদ্রাসা (সদ্য এমপিওভুক্ত), বলদিয়াঘাট দাখিল মাদ্রাসা (সদ্য এমপিওভুক্ত), পলাশডাঙা দাখিল মাদ্রাসা, দেওপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, আলাদিপুর দাখিল মাদ্রাসা, তুলসিপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, আন্ধারদীঘি দাখিল মাদ্রাসা।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে আরবি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় কিছু ভুয়া পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে বলে কক্ষ পরিদর্শকদের জানান কেন্দ্র সচিব। পরিদর্শকগণ খাতা স্বাক্ষর করার সময় বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে কেন্দ্র সচিবকে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্র সচিব বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি কেন্দ্রে অভিযান চালান। এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ছবিসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু যাচাই-বাছাই করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত হয়।
সূত্র আরও জানায়, এই কেন্দ্রে ৪০টি মাদ্রাসার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিচ্ছে। এর মধ্যে সিমুলডাঙা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১১ জন, পলাশডাঙা দাখিল মাদ্রাসা থেকে আটজন, দেওপাড়া সিংপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে তিনজন, আলাদিপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে একজন, তুলসিপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৪ জন, বলদিয়াঘাট দাখিল মাদ্রাসা থেকে দুজন, আন্ধারদীঘি দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৭ জন, মানিকুড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে তিনজন ভুয়া পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরে তাদের ছেড়ে দিলেও প্রকৃত পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘আমি গোপন সূত্রে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করি। এরপর ইউএনও স্যার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যার এসে কক্ষ পরিদর্শকদের সহায়তায় এই ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করেন। এরপর তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং ওই আটটি মাদ্রাসার প্রধানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মামলা দায়েরের বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন।’